Bangladesh: ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি করে ফল ভোগ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় দিনকে দিন বেড়েই চলেছে অস্থিরতা। বাংলাদেশে এখন চলছে ইউনূস সরকারের আধিপত্য, তবুও বিপদ থেকে বাঁচাতে পারছে না বাংলাদেশকে। ভারতের বিরোধিতা করা এখন তাদের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু এই ফাঁকেই দেশের একটা বড় অংশ কার্যত বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জোগাড়।
বাংলাদেশের (Bangladesh) ভিতরে সৃষ্টি হতে চলেছে নতুন একটি দেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে বেড়ে চলেছে আরাকান আর্মির অরাজকতা। নেকনাফ জেলার একটা অংশ এখন আরাকান আর্মির দখলে। আরাকান আর্মির গ্রুপ কমান্ডার এমনটাই দাবি করছেন। বাংলাদেশের ওই জায়গাটি বর্তমানে চলে এসেছে পুরোপুরি আরাকান আর্মির দখলে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানেই তারা তৈরি করবে ঘাঁটি এবং মায়ানমারের পরিচালনা চালানো হবে এই ঘাঁটি থেকেই। যদি এই কথামতোই আরাকান আর্মি কাজ করে তাহলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে বাংলাদেশ সরকারের।
আরাকান আর্মির কমান্ডার অবশ্য দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশের (Bangladesh) কিছু জমি বর্তমানে আরাকান আর্মি দখল করতে চলেছে। এই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে বোঝাই যাচ্ছে যে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী একেবারে ব্যর্থ। যে অঞ্চলগুলোতে আরাকান আর্মি তাদের আধিপত্য বিস্তার করেছে সেখানকার চেকপোস্টগুলোতেও বাংলাদেশ সরকারের সীমান্ত বাহিনী কোনরকম কাজ করতে পারছে না। সেখান থেকে বিজিবিকে মেরে তাড়িয়েছে আরাকান আর্মি।
আরও পড়ুন:China: একদিকে চলছে বাংলাদেশের বাড়বাড়ন্ত, তারই মধ্যে চীনের নজর পড়ল এবার মালদহে
সীমান্ত দখলের যে দাবি আরাকান আর্মি করেছে তা আদৌ কতটা সত্যি সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ, তাই এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না আরাকান আর্মির এই দাবিকে। পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে বলেই ইউনূস মিশরে পৌঁছে আবদেল এল-সিসির কাছে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের সবথেকে বড় সমস্যা হলো সীমান্তবর্তী সমস্যা। মায়ানমার নিয়ে থাইল্যান্ডে ক্রাইসিস মিটিংয়েও আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করেছেন অন্তবর্তী সরকারের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। মায়ানমার নিয়ে এদিন থেকে ব্যাঙ্ককে শুরু হয়েছে ৬ দেশের ক্রাইমিস মিটিং। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং সাথে আছে ভারত, চিন, লাওস ও কম্বোডিয়া। মায়ানমারের বিদ্রোহীদের আলোচনায় বসাতে চায় বাংলাদেশ (Bangladesh) ।
মায়ানমার নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ খুবই চাপে আছে। চলতি মাসে আরাকান আর্মি দাবি করেছিল, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ তারা দখল করে নিয়েছে। আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশে যেরকম অঝোর অবস্থা চলছে তাতে আরাকান আর্মি সহজেই বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করবে। এর প্রধান অস্ত্র ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে তাকে সামনে রেখে মায়ানমারের জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। একবার যদি আরাকান আর্মি বাংলাদেশে তাদের অবস্থান প্রচুর করতে পারে তাহলে সমস্যায় পড়তে পারে বাংলাদেশ সরকার। সেনাঘাঁটি তৈরি, অস্ত্র সরবরাহের বিকল্প রুট, অস্ত্র মজুত – রয়েছে একাধিক সমস্যা। বিদেশের লোক এসে রীতিমতো দেশে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে, এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের সবথেকে বড় ভুল হলো ভারতবিরোধীতা করা। সেইজন্যই ক্রমশ বিপদ বাড়ছে ইউনূস সরকারের।