নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের ঘরে ঘরে দুধের (Milk) প্রয়োজন দেখা যায়। তবে খাঁটি নাকি ভেজাল দুধ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রত্যেকের মধ্যেই সংশয় নজরে আসে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই রয়েছেন যারা অলিগলি খাঁটি দুধ খোঁজার পরিবর্তে প্যাকেটজাত দুধের উপর নির্ভরশীল। প্যাকেটজাত দুধের এমন ব্যাপক চাহিদা থাকলেও, দুধ শিল্পের উন্নতির ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও এনিয়ে সেই ভাবে বড় কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। তবে এবার বাংলার ডেয়ারির (Banglar Dairy) মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলার দুধ শিল্প।
বাংলা ডেয়ারির হাত ধরে বাংলার দুধ শিল্পকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এবার নতুন এক উদ্যোগ নেওয়া হল। যে নতুন উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে নদীয়ার হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে নতুন একটি প্ল্যান্ট (Banglar Dairy’s New Unit) তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অ্যানিমেল রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এই উদ্যোগ নিচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য ৬৫.৫৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
দুগ্ধ উৎপাদনে বাংলা ভারতবর্ষে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বাংলার ডেয়ারির। যে বাংলার ডেয়ারির মাধ্যমে প্রায় ৫২ হাজার দুধ ব্যবসায়ীরা উপকৃত হন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে চলতি অর্থবর্ষে সব মিলিয়ে প্রায় ২৯ হাজার ১৭৭ কিলোলিটার দুধ উৎপাদন করা হয়েছে। আর সব মিলিয়ে চলতি অর্থ বর্ষে ভর্তুকি সহ দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন ১১৪.২৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন ? দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাছ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দিতে নয়া উদ্যোগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলা ডেয়ারির যে সকল প্ল্যান্ট রয়েছে সেই সকল প্ল্যান্ট ছাড়াও গোটা রাজ্যে ৫৭৮টি কাউন্টার রয়েছে। হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে নতুন যে প্ল্যান্ট তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেখানে প্রতিদিন এক লক্ষ লিটার দুধ প্রসেসিং করা হবে। এখান থেকে পাউচ প্যাকেটে দুধ প্যাকেট বন্দি করে বিক্রি করা হবে। এছাড়াও পনির, ঘি, দই, লস্যি ইত্যাদি তৈরি হবে।
নতুন এই ইউনিট তৈরি হওয়ার ফলে রাজ্যে যে পরিমাণ দুধের চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ দুধের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেননা নতুন এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন এক লক্ষ লিটার দুধ প্রসেসিং করার যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা আগামী দিনের দু’লক্ষ লিটার করার পরিকল্পনা রয়েছে।