ধার নিয়ে ফেরত দেয়নি! দোকানের সামনে ধরনা ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিভিন্ন কারণে এখন ধরনা দেওয়ার ট্র্যাডিশন শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। রাজনৈতিক দাবি দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকদের ধরনা দিতে দেখা যায়, আবার স্থানীয় সমস্যা সমাধানের জন্য আমজনতাকেও ধরনা দিতে দেখা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার প্রেমিক প্রেমিকা, স্বামী স্ত্রীরাও নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য ধরনায় বসেন। তবে কখনো কি শুনেছেন ধার দেওয়া টাকা ফেরতের জন্য ধরনায় বসেছেন খোদ ব্যাংক ম্যানেজার!

বিষয়টি একেবারেই বিরল এবং অবিশ্বাস্য। তবে বিরল এবং অবিশ্বাস্য হলেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ব্যাংক থেকে লোন দেওয়া এবং সেই লোনের টাকা সঠিক সময়ে আদায় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে ব্যাংক ম্যানেজারের। কিন্তু এক দোকানদার ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে লোনের টাকা ফেরত না দেওয়াই সেই টাকা ফেরত পেতে খোদ ধরনায় বসলেন ওই ব্যাংকের ম্যানেজার।

এমন ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুপুত্তুরে। সেখানকার ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের শাখা থেকে এস অরুণাগিরি নামে এক ব্যক্তি প্রায় দেড় কোটি টাকা ধার নিয়েছিলেন তার হার্ডওয়ার ব্যবসা চালানোর জন্য। কিন্তু ধার নেওয়ার কয়েক মাস পরেই ওই ব্যক্তি লোনের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। আসল এবং সুদ কোনো টাকায় তিনি ফেরত দিচ্ছিলেন না।

আসল অথবা সুদ কোনো টাকা দীর্ঘদিন ধরে না দেওয়ার কারণে ব্যাংকের তরফ থেকে একাধিকবার ওই ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাঠানোর পাশাপাশি ওই ব্যক্তির কাছে একাধিকবার ব্যাংকের আধিকারিকরা যান এবং টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু কোন কিছুতেই লোন নেওয়া ব্যক্তি কোনো রকম ভ্রুক্ষেপ না করার পরিপ্রেক্ষিতে তার দোকানের সামনে গিয়ে ধরনায় বসেন ওই ব্যাংকের ম্যানেজার।

টাকা ফেরত না পেয়ে ধরনায় বসে প্রতিবাদ জানানোর এমন পদক্ষেপ নেওয়া ব্যাংকের ম্যানেজারের নাম এস হেমন্ত কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ধার দেওয়া হয়েছিল দু’বছর আগে। এরপর মাত্র ১০ লক্ষ টাকা শোধ করা হয় এবং বাকি আর টাকা অথবা সুদ কিছুই দিচ্ছিলেন না ঐ ব্যক্তি। নোটিশ আবেদন সবকিছু দেওয়ার পরেও কোনরকম ভ্রুক্ষেপ না করার পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে দোকানের সামনে ধরনায় বসেছেন তিনি।