নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar) সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই প্রকল্প এমন একটি প্রকল্পে পরিণত হয়েছে যা রাজ্যের মানুষদের মুখে মুখে প্রচারিত হওয়ার পাশাপাশি এখন দেশেও বিভিন্ন জায়গায় এই প্রকল্প নিয়ে কথা হচ্ছে। আর এবার এই প্রকল্প নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখছেন রাজ্যের মা-বোনেরা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যখন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের টলমল অবস্থা, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকা এই প্রকল্প শুরু করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ভোটে জিতেই চালু হয়ে যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ মনে করেন, তৃণমূলকে সরকারে ফেরাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পই তুরূপের তাস। ঠিক একইভাবে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি করতেই ফের ৬-৬টি হারানো আসন পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি কংগ্রেসের থেকে একটি আসন ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।
২০২১ সালে প্রথম যখন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু হয়েছিল সেই সময় দেওয়া হতো ৫০০ ও ১০০০ টাকা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা। আর এবার যখন তৃণমূল ফের রাজ্যে জয়ের ঝড় তুলল তখন লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar New Update) টাকা বৃদ্ধি নিয়ে ফের আশায় রয়েছেন রাজ্যের মা-বোনেরা, কেননা তাদের বিশ্বাস ফের টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন ? MLA MP: একুল ওকুল, গেল দুই কুল! না বিধায়ক, না সাংসদ, এবার ভোটে ‘সব’ হারানো ৪ প্রার্থী
২০২১ সালের বিধানসভা এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন অর্থাৎ পর পর দুটি বড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। আবার এই বড় ভূমিকা পালন করার পিছনে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধিকে অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করেছে বলেই মনে পড়ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে, আবার রাজ্যে বড় নির্বাচন এলেই হয়তো রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে।
মায়া অঙ্কুর নামে এক উপভোক্তা জানিয়েছেন, ভোট এলেই দিদি তাদের ওপর দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেন মাসে মাসে টাকা দিয়ে অথবা টাকা বাড়িয়ে। তারাও দিদিকে হতাশ করেননি। আর এরপর তাদের আশা, আগামী দিনে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ১০০০-১২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০-২০০০ টাকা করে দেবেন। দিদি তাদের নিরাশা করবেন না বলেই তিনি দাবী করেছেন।