পরপর দু’দিন ভারত বনধ, ব্যাঙ্ক, রেল, ধাক্কা খেতে পারে কোন কোন ক্ষেত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে সোমবার এবং মঙ্গলবার ডাকা হয়েছে ভারত বনধ। বনধ পালনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ ফোরাম নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক সেরে ফেলেছে।

কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সেই সকল সিদ্ধান্তের একাধিক সিদ্ধান্ত নীতিবিরোধী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর এই কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ ফোরাম সাধারণ মানুষকে প্রতিবাদে নামার আর্জি জানিয়েছে। এই ফোরামের ডাকা দুদিনের এই ধর্মঘট মূলত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ, শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী সহ আরও বেশ কিছু নীতির বিরুদ্ধে।

কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির এই যৌথ ফোরাম দাবি করছে, সরকারি কর্মচারীদের সঞ্চয়ের উপর কোপ মারছে কেন্দ্র সরকার। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে আগে যেখানে ৮.৫ শতাংশ সুদ ছিল, তা এখন কমিয়ে করা হয়েছে ৮.১ শতাংশ। এর পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন সংস্থা বেসরকারিকরণ করা চলবে না। অন্যদিকে তাদের আরও অভিযোগ, কেরোসিন, পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি বিপদে ফেলছে সাধারণ মানুষকে।

তবে প্রশ্ন হল দু’দিনের এই ভারত বনধ সবচেয়ে বেশি কোন কোন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে? মনে করা হচ্ছে, এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বীমা সংস্থা সহ আর্থিক ক্ষেত্র। কয়লা, লোহা, টেলিকম, তেল, ডাক, আয়কর, তামা ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রভাব পড়তে পারে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও।

এই ধর্মঘটে সামিল হওয়া সংগঠনগুলি হলো এআইটিইউসি, এইচএমএম, সিটু, এআইইউটিইউসি, টিইউসিসি, এআইসিসিটিইউ, এলএফপি এবং ইউটিইউসি সহ আরো একাধিক শ্রমিক সংগঠন। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এই ধর্মঘট চলাকালীন জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সোমবার এবং মঙ্গলবার সরকারি কর্মচারীদের অফিসে আসা বাধ্যতামূলক।