All these big announcements may be for the middle class in the New Budget: ভারতের লোকসভা নির্বাচন সুসম্পন্ন হয়েছে আরো একবার সরকার গঠন করেছে এনডিয়ে জোট। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পর তৃতীয়বারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করা দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা ভোটের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন মোদি সরকার একটি আংশিক বাজেট পেশ করেছিল। লোকসভা ভোটের পর, সরকার গঠনের পর, এবার পালা পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করার। খুব শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ বাজেট (New Budget) পেশ করতে চলেছে বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
প্রায় ২ মাস ধরে সাত দফায় লোকসভা ভোট আয়োজিত হয়েছে। ভারতে ভোটগ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণা এবং নতুন সরকার গঠনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। আবারও অর্থমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন নির্মলা সীতারামন। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে ভারতের নতুন পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছে নির্মলা সীতারামান। ভোট পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি এবং ভোটের ফলাফল সব কিছুরই প্রভাব পড়তে চলেছে এই বাজেটে। মধ্যবিত্তদের জন্য খুশির খবর বয়ে নিয়ে আসতে পারে ভারতের নতুন বাজেট (New Budget)। উন্নতি হতে পারে ভারতের আর্থিক অবস্থা ও কর্মসংস্থানের।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে মধ্যবিত্তদের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হতে পারে নতুন বাজেট (New Budget)। তাদের জন্য একাধিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসা হবে নতুন বাজেটের মধ্যে দিয়ে। মধ্যবিত্তদের জীবনের বড় একটা সমস্যা হল আর্থিক সমস্যা। উপার্জন কম অথচ খরচ অনেক বেশি। নতুন বাজেটের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে নতুন বাজেটে একাধিক কর্মসংস্থানের বিষয় আলোচিত হবে। কর্মসংস্থান হলে বাড়বে আয়ের রাস্তা। এছাড়া আয়কর ছাড়ের কথাও থাকতে পারে নতুন বাজেটে। এছাড়াও বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যতম উপাদান বাসস্থান সংক্রান্ত ভর্তুকির ক্ষেত্রেও থাকতে পারে বিশেষ ছাড়।
লোকসভা ভোটের আগে বাড়ি তৈরি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি সরকার। লোকসভা ভোটের জয়লাভ করার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করারই আশা করছে সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে নতুন বাজেটে এই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচিত হতে পারে। এছাড়াও আয় করে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে যাদের বার্ষিক আয় ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে তারা আয় করে ছাড় পেতে পারেন। আগে ১৫ লক্ষ টাকা বা তার নিচে উপার্জন কারী ব্যক্তিদের বাৎসরিক ৫ থেকে ২০ শতাংশ ট্যাক্স জমা দিতে হতো। আর ১৫ লক্ষের উর্ধ্বে যাদের বাৎসরিক আয় তাদের ট্যাক্স দিতে হয় ৩০ শতাংশ। নতুন বাজেটে (New Budget) এই ট্যাক্সের পরিমাণে কিছুটা ছাড় পেতে পারে সাধারণ মানুষ।
বর্তমান ভারতে কর্মসংস্থান একটি বড় বিষয়। সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হতে পারে ভারত সরকারের নতুন বাজেটে (New Budget)। বিশেষজ্ঞদের মতে আসবাবপত্র, পর্যটন শিল্প, খেলনা ইত্যাদি ব্যবসাগুলিকে পিএলআই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হতে পারে। তাতে কর্মসংস্থানের পরিমাণ অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়া সারা ভারত জুড়ে বিভিন্ন রকম স্টার্টার বিজনেসের উপরে জোর দিতে পারে ভারত সরকার। ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীদের অভিজ্ঞতা প্রদান করা হতে পারে। সর্বোপরি কৃষিকাজ ও কৃষকদের জন্য থাকতে পারে একাধিক সুযোগ-সুবিধার পরিকল্পনা।