‘মনে মনে গুমড়ে থাকতো’, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকাল বেলা হঠাৎ শোনা যায় টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় মধ্যরাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তার হঠাৎ এই প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই শোকোস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা বাংলা। আর এবার তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণায় বিস্ফোরক আরেক অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, তারা দুজনে একসঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। কাজ নিয়ে কোনো কথা বলবেন না বরং বলবেন অন্য কথা। অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বয়সে ছোট হলেও কাজের সূত্রে এতটাই বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল যে একে অপরকে ‘তুই’ সম্বোধন করতেন।

বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “অভিষেকের বাড়ি ছিল বরাহনগরে। আমি মজা করে ওকে বলতাম ‘বরাহনগরের গঙ্গার পলিমাটি খাওয়া ছেলে ব্যাটা’। খুব ভালো ফিজিক ছিল তখন। এক্সারসাইজ করত। ভালো ফুটবল খেলত। লাভেবল বয় ছিল। সকলের সঙ্গে হেসে কথা বলা, আড্ডা মারা, ইয়ার্কি করা। আড্ডা, ইয়ার্কি, ফাজলামি এই সকল চলতেই থাকত।”

এর পাশাপাশি বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ইদানিং ও বেশ মোটা হয়ে যাচ্ছিল। সেই নিয়ে আমি ওকে বলেছিলাম শরীরটার দিকে নজর দিতে। কিন্তু আমাকে বলতো, এখন কি আর হবে।” এরপরেই বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওর মনে একটা খুব কষ্ট ছিল জানি। সিনেমা থেকে সরে আসাটা কিছুতেই ও মানতে পারত না। মনে মনে গুমড়ে থাকতো”।

অভিষেক চট্টোপাধ্যায় টলিউডের রুপালি পর্দায় পা রাখেন ১৯৮৬ সালে। রুপালি পর্দায় পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই একের পর এক হিট ছবি উপহার দিতে শুরু করেন টলিউডকে। এরপর টানা ২০০০ সাল পর্যন্ত অজস্র ছবিতে অভিনয় করেছেন। অধিকাংশ ছবি হিট হয়েছে বক্স অফিসে। কিন্তু তার পরেই হঠাৎ করে অভিনেতার পরিবর্তে সহ-অভিনেতার অফার আসতে শুরু করে তার কাছে। এমন পরিস্থিতিতে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় নিজেকে সিনেমা জগৎ থেকেই সরিয়ে নেন। এরপর এক দশকের বেশি সময় অগোচরে থাকার পর ফের ছোটপর্দার হাত ধরে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন হয়। তবে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে এই অভিনেতা এইভাবে সকলকে ছেড়ে চলে যাবেন তা কেউ মেনে নিতে পারছেন না।