বাঘ, নাকি অন্য কিছু! জখম বেশ কয়েকজন, এলাকা জুড়ে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঘের আতঙ্ক গ্রাস করেছে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম। সপ্তাহ খানেক ধরে চলা অজানা জন্তুর আক্রমণে জখম বেশ কয়েকজন সাধারণ গ্রামবাসী। তারা বর্তমানে বীরভূমের মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। ওই সমস্ত গ্রামের গ্রামবাসীদের দাবি অজানা জন্তুটি আর কিছু নয়, বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন তারা। অজানা জন্তুর আক্রমণে ঝাড়খণ্ডের নসিপুর গ্রামের এক বৃদ্ধের মৃত্যুও ঘটেছে।

আর এই ঘটনার পর থেকেই কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন দলবদ্ধ হয়ে, ধারালো অস্ত্র, তীর ধনুক, মশাল, বাস-লাঠি নিয়ে।

আক্রমণের ঘটনা ঝাড়খণ্ডের মহেশপুর এলাকায় ঘটলেও আতঙ্কিত বীরভূমের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম। এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী মুরারই ও নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের কনকপুর, খাঁনপুর সংকেতপুর , সুলতানপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

যদিও ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত লাগোয়া ওই সমস্ত গ্রামগুলিতে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে টহলদারি চালালেও এখনো অবধি দেখা পাওয়া যায়নি বাঘের কোনো অস্তিত্ব, ধরাও পড়েনি অজানা জন্তুটি। ঝাড়খন্ড বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বাঘের আতঙ্ক উড়িয়ে না দিলেও প্রাথমিকভাবে তাদের অনুমান এটা বাঘ নয়। কারণ জঙ্গল থেকে এই সমস্ত জায়গায় বাঘ আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের তরফ থেকে তিনটি খাঁচা বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে ছাগলকে টোপ হিসাবে। কিন্তু ফলাফল মিলেনি। আর প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে আসলে এই আক্রমণ কিসের! সত্যিই বাঘের, নাকি অন্য কোনো জন্তুর! নাকি সুবিধা লুটার জন্য স্বতঃপ্রণোদিত কোনো রহস্য।