নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি বীরভূমের বিজেপির জেলা সম্পাদক অতনু চ্যাটার্জি (Atanu Chatterjee) অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) হাত ধরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তবে বছর দুয়েক কাটতে না কাটতেই ফের তার প্রত্যাবর্তন হলো বিজেপিতে (TMC Leader from Birbhum Joins BJP)। শনিবার সাঁইথিয়ায় আয়োজিত বিজেপির একটি বিক্ষোভ সমাবেশে তাকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো বক্তব্য দিতে শোনা যায়।
অতনু চ্যাটার্জি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাকে তৃণমূলের তরফ থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছিল। পদ পেয়ে বিভিন্ন সময় তাকে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হন। অনুব্রত মণ্ডলের এখন ঠাঁই হয়েছে তিহার জেলে। এমন পরিস্থিতিতে অনুব্রতহীন বীরভূমে ফের অতনু চ্যাটার্জিকে পাল্টি খেয়ে বিজেপিতে দেখা গেল।
শনিবার সাঁইথিয়ায় আয়োজিত বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশে আগের মতই ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখতে দেখা যায় অতনুকে। তাকে আচমকা এইভাবে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশে দেখে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তৃণমূলের সঙ্গে তার সম্পর্ক পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের থেকেই শেষ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়েই কাজ করেছেন। আগামী দিনেও তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করবেন এবং আসন্ন লোকসভা থেকে শুরু করে বিধানসভা সব নির্বাচনেই তাকে দেখা যাবে বিজেপিতে।
আরও পড়ুন ? BJP Lok sabha Election: এবারের লোকসভায় কাদের কাদের টিকিট দেবে না বিজেপি, তৈরি ব্লু প্রিন্ট
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা এই বিষয়ে জানান, অতনু চ্যাটার্জি আগেও বিজেপিতে ছিলেন। দলের সঙ্গে ছোটখাটো মনোমালিন্যের কারণে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন আর আগামী দিনের লোকসভা থেকে শুরু করে সমস্ত নির্বাচনে বিজেপির হয়েই কাজ করবেন। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের বহু সম্পাদক সভাপতি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে তাদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখা হবে কে কত বড় চোর সেই বিষয়টি।
অনুব্রতহীন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চ্যাটার্জির এইভাবে বিজেপিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলেছে জেলা তৃণমূলকে। আর সেই অস্বস্তি দূর করতে বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরী দাবি করেন, “ও-তো বিজেপিতেই ছিল আর বিজেপিতেই ফিরে গিয়েছে। এতে নতুন কিছু নেই। তৃণমূলের সঙ্গে অতনু চ্যাটার্জির কোন যোগাযোগ নেই। অতনু তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক আর নেই।”