নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয় পেতে গত ২৪ শে মার্চ থেকে ভারতে ২১ দিনের জন্য জারি হয়েছে লকডাউন। যে লকডাউন শেষ হবে আগামী ১৪ ই এপ্রিল। তবে এর মেয়াদ বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লকডাউন চলাকালীন আমজনতাকে বাড়ির মধ্যে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত মানুষদের পথে বেরিয়ে জীবনযাত্রার মানকে স্বাভাবিক রাখতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, ওষুধের দোকান ইত্যাদি খুলে রাখার ক্ষেত্রেও রয়েছে ছাড়পত্র। কিন্তু এসকল নির্দেশিকা জেনে বুঝেও বেশ কিছু মানুষকে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করতে দেখা যাচ্ছে। আর তা নিয়েই বারবার উঠছে প্রশ্ন।
যদিও লকডাউনকে সফল করতে পুলিশ প্রশাসন তাদের সাধ্যমতো প্রয়াস চালাচ্ছে। কখনো কড়া হাতে, কখনো গান গেয়ে, কখনো ছবি এঁকে, কখনো মাইকিং পোস্টারিং করে চলছে পুলিশের প্রয়াস। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিদিনই বেশ কিছু মানুষকে দেখা যাচ্ছে থলি হাতে, পকেটে প্রেস্ক্রিপশন বা ব্যাঙ্কের পাসবই নিয়ে ঘুরে বেড়াতে (এগুলি যেন গেট পাস!)। তবে এসবের ফলাফল কি হতে পারে তা সকলেরই জানা। তাও থেমে নেই তারা। এবার সেই সকল মানুষদের (আইন ভাঙ্গা) একটি খতিয়ান প্রকাশ করল বীরভূম পুলিশ। যাতে বলা হয়েছে লকডাউন চলাকালীন আইন ভেঙ্গে কত মানুষ আইনি জটে।
বীরভূম পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “নিরাপত্তাজনিত বিধি নিষেধের সরকারি নির্দেশ অমান্য করার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৫ টি মামলা রুজু করেছে। যেখানে ৫৭ জনকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে এবং ৫৪ টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর বাইরেও ১১৮০ জন গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনের ভিন্ন ভিন্ন ধারায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
আর এই খতিয়ান প্রকাশের পাশাপাশি তারা আবারও একটি বাউল গানের মাধ্যমে মানুষকে আবেদন জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন, বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন। “কতই ভাইরাস দেখি বাইরে…ও ভাইরে….ও ভাইরে। কেউ থলি হাতে হাই…রোজ বাজারে যাই। প্রাণের চিন্তা চুকিয়ে দিয়ে করে খাই খাইরে। ও ভাইরে।।”