করোনাকালে সভা মিটিং মিছিল নিয়ে এবার নতুন সিদ্ধান্ত বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আর এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যগুলির। এরই মাঝে আবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের এখনো তিন দফা ভোট গ্রহণ বাকি রয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসাবে রাজনৈতিক সভা মিটিং-মিছিলকে দায়ী করছেন। আর এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক রাজনৈতিক দল বড় বড় সভা ও মিছিল ইত্যাদি থেকে বিরত থাকার ঘোষণা করে। আর সেই একই পথে এবার হাঁটলো বিজেপি।

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সকল জায়গায় সভা করবেন সেই সকল মাঠে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি হবে সর্বোচ্চ ৫০০। তবে শুধু মোদি নয় অন্যান্য যেকোন বিজেপির রাজনৈতিক সভার ক্ষেত্রে এই নিয়ম জারি হচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপির তরফ থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে ছয় কোটি মাস্ক বিতরণ এবং স্যানিটাইজার বিতরণ।

সোমবার রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আগামী ২৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যে চারটি জনসভা করবেন। এই চারটি জনসভায় সশরীরে ৫০০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি যারা উপস্থিত থাকবেন তাদের সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। এমনকি মঞ্চে উপবিষ্ট নেতাদের সংখ্যাতেও কাটছাঁট করা হবে।”

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, দেশ তথা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে প্রথম রাজ্যের সংযুক্ত মোর্চা অর্থাৎ বাম কংগ্রেস আইএসএফ জোট সিদ্ধান্ত নেয় বড় মিটিং মিছিলের আয়োজন তারা করবে না। পরে একই পথ অনুসরণ করতে শুরু করেন তৃণমূল নেতারা এবং পরবর্তীতে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে কলকাতায় আর জমায়েত করবেন না এমনটা।