Sinking cities: ঘুম উড়ছে রাতের, নতুন সমস্যায় চীন! গৃহহীন হতে পারেন লক্ষ লক্ষ মানুষ

Gradually, some big cities in China are sinking into the sea: ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন । দেশটির এক-তৃতীয়াংশ ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। যার ফলে গৃহহীন হতে পারেন বহু মানুষ। চীনের বড় বড় শহরগুলি আজ বিপদগ্রস্ত আধুনিকতার ছোঁয়ায়। অত্যাধিক আধুনিক জীবন বৈচিত্র বজায় রাখতে গিয়ে আজ এই বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। প্রকৃতির উপর করা যথেচ্ছ অত্যাচারের ফলাফল মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দেখা দিয়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে চীনের একাধিক শহর (Sinking cities)।

আধুনিক জীবন বৈচিত্র বজায় রাখতে গিয়ে প্রকৃতির উপর যথেচ্ছ অত্যাচার করে থাকি আমরা। তারই ফল পাচ্ছে চীন। মাটির তলা থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে জল তুলে নেওয়া, গাছ কেটে ফেলা ইত্যাদি এই পতনের কারণ। সাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশকে নিজেদের প্রয়োজনে পাল্টে ফেলেছি আমরা। বহুতল বিল্ডিং বানিয়েছি, একাধিক ইলেকট্রনিক গেজেট ব্যবহার করছি, যার ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেছে। মাটি ও আলগা হতে শুরু করেছে তা থেকেই এই বিপদে সৃষ্টি। তলিয়ে যেতে বসেছে চীনের (Sinking cities) বৃহদাংশ।

মাটি আস্তে আস্তে নিচের দিকে বসে যাচ্ছে। যার ফলে ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে চীনের বহু শহর (Sinking cities)। এইভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই চীনের এক তৃতীয়াংশ মাটির তলায় তলিয়ে যেতে পারে। গৃহহীন হতে পারে একাধিক মানুষ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গেছে সারা বিশ্ব জুড়ে। সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে, চীনের তিয়ানজিন, বেজিং এর মত বড় শহরগুলো (Sinking cities) ধীরে ধীরে মাটির নিচে বসে যাচ্ছে। শুরুর দিকে বছরে ৩ মিলিমিটার জমি মাটির নিচে বসে যাচ্ছিল। তখন থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল চীনে। সম্প্রতি তা বেড়ে ১০ মিলিমিটারে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে চীনের শহরগুলির ৪৫ শতাংশ প্রতিবছর ১০ মিলিমিটার হাড়ে মাটির নিচে বসে যাচ্ছে একটু একটু করে।

আরও পড়ুন 👉 Jio vs China Mobile: জিওর কাছে পিছনে পড়ে গেল চীনের চায়না মোবাইল! কিছু করে দেখালেন আম্বানি

গবেষণা পত্রটি থেকে আরও জানা গেছে, চীনের যে সমস্ত শহরগুলিতে জনসংখ্যা সবথেকে বেশি সেখানে এই বিপদের সম্ভাবনাও অনেক বেশি আকারে দেখা দিচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে এই ঘটনা শুরু হয়েছে বলে মনে করা হয়। তখন থেকে এখন পর্যন্ত যে সমস্ত শহরগুলিতে ২০ লক্ষ্যেরও বেশি মানুষজন বসবাস করছেন, সেই শহর গুলি বর্তমানে সব থেকে বেশি বিপদের মধ্যে রয়েছে। বেজিং এর সাবওয়ে, হাইওয়ে গুলি ইতিমধ্যে ৪৫ মিলিমিটার করে মাটির নিচে বসে গেছে। সাংহাই শহরটি (Sinking cities) ৩ মিটার বসে গেছে মাত্র ১ দশকে।

চীনের এই পরিস্থিতিতে চিন্তান্বিত ভারতও। ব্যাঙ্গালোরে এখনই জল সংকট দেখা দিয়েছে। মাটির নিচে জলের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। যত উঁচু বহুতল তৈরি করা হচ্ছে, ততই বসে যাচ্ছে মাটি। শীঘ্রই সতর্কতা অবলম্বন না করলে চীনের শহরগুলোর (Sinking cities) মত একই দশা হতে পারে ভারতের কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি, ব্যাঙ্গালোরের মত বড় শহরগুলোরও।