Metro vs Bus: হাওড়া থেকে মেট্রো চালু হতেই মাথায় হাত বাস মালিকদের, টিকে থাকতে নয়া পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে মেট্রো পরিষেবা (Metro Service)। যে মেট্রো পরিষেবার জন্য বছরের পর বছর ধরে মুখিয়ে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে শুরু করে রাজ্যের মানুষরা। এই মেট্রো পরিষেবা চালু হতেই এখন বাস, অটো ছেড়ে অধিকাংশ সাধারণ মানুষেরা মেট্রো চড়ে তিলোত্তমায় রওনা দিচ্ছেন।

হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার পর বাস, অটো সহ অন্যান্য যানবাহনে যাত্রীসংখ্যা ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই ৩০ শতাংশ যাত্রী কমে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত করতে শুরু করেছে ওই সকল পরিবহনের সঙ্গে যুক্তদের। তবে এবার তাদের তরফ থেকে টিকে থাকার জন্য নয়া পরিকল্পনা (Metro vs Bus) গ্রহণ করা হলো।

হাওড়া ময়দান থেকে পিক আওয়ার্সে ১২ মিনিট এবং অন্যান্য সময় ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর মেট্রো চালানো হচ্ছে। এর ফলে মেট্রো কম নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। এরই সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া ও যাতায়াত সময় অনেক কম লাগার কারণে যাত্রীদের বড় অংশ মেট্রোর উপর ভর করে যাতায়াত করছেন। আবার এর থেকেও একটি বড় বিষয় হলো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রো। কেননা ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, আর এই ব্যাপক তাপমাত্রায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোতে চড়ে সাধারণ মানুষরা আরাম করে কলকাতায় পৌঁছে যাচ্ছেন অথবা সেখান থেকে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন 👉 East West Metro: কোনটা গ্রিন, কোনটা ব্লু লাইন! সহজেই বুঝতে নয়া ব্যবস্থা কলকাতা মেট্রোর

এর পাশাপাশি আরও একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাস এবং অন্যান্য যানবাহনের যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে। আর সেই বড় কারণটি হল সময়। ধর্মতলা থেকে হাওড়া বাসে আসতে হলে সময় লাগে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট। হাওড়া ময়দান যেতে সময় লাগে অন্ততপক্ষে এক ঘন্টা। তাও আবার যদি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ঠিকঠাক থাকে। এক্ষেত্রে মেট্রোতে মাত্র কয়েক মিনিটেই এই দূরত্ব পাড়ি দেওয়া সম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই সমস্ত দিক বিচার করে যাত্রীরা এখন মেট্রোর উপরেই ভরসা রাখছেন।

তবে এই পরিস্থিতিতে বাস মালিক সহ অন্যান্য যানবাহন মালিকদের মাথায় হাত পড়লেও তারা বাজারে টিকে থাকতে মরিয়া। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পরিকল্পনা হিসাবে যানবাহনের গতি বৃদ্ধি করার কথা ভাবছেন। তারা মনে করছেন, আরও কম সময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে ফের যাত্রীরা তাদের কাছে ফিরে আসবেন। তবে যানবাহনের গতি বৃদ্ধি করার জন্য রাস্তার পরিসর ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে বলেও দাবি করেছেন।