Buy tickets for Alipore Zoo online without standing in line: এতদিন পর্যন্ত আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo) প্রবেশের জন্য দিতে হতো লম্বা লাইন,কিন্তু এখন আর লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হবে না আপনার। তার জন্য শুধু খুলতে হবে যাত্রীসাথী অ্যাপ। এর মাধ্যমে অনলাইনে চিড়িয়াখানার টিকিটের বুকিং করতে পারবেন। বড়দিনের ছুটিতে সবাই যাবে আলিপুর চিড়িয়াখানায় তাই সামনে ভিড় কমাতে দর্শকরা পরিবহন দপ্তরের যাত্রীসাথী অ্যাপে অনলাইনে টিকিট বুক করতে পারবেন। এর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা পুলিশও। এই অ্যাপ এর মাধ্যমে চিড়িয়াখানার সামনের রাস্তায় ভিড় অনেকটাই কমবে, মসৃণ হবে আলিপুরের রাস্তা। হাওড়া থেকে বাবুঘাট বা চাঁদপাল ঘাটে লঞ্চে যাতায়াতের টিকিটও মিলছে যাত্রীসাথী অ্যাপে, যার ফলে সুবিধা হবে লঞ্চযাত্রীদেরও।
এ রাজ্যের মানুষের কাছে বড়দিনের ছুটি মানেই হলো কলকাতার চিড়িয়াখানা (Alipore Zoo) আর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। চিড়িয়াখানায় নিত্যনতুন জন্তু জানোয়ার দেখার মজাই কিন্তু আলাদা। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষের ভিড় জমে এই স্থানে। আপনি চাইলে পরিবারের সঙ্গে ভিক্টোরিয়া ও ময়দানে সারাদিন সময় কাটাতেও পারেন। হাজার হাজার দর্শক শীতকালে আসে এই স্থানে। অনেকেরই পরিকল্পনা থাকে চিড়িয়াখানা দেখে ভিক্টোরিয়া বা ময়দানে যাওয়ার।
লালবাজারের সূত্র জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণ কলকাতার একটি অংশ থেকে মধ্য কলকাতায় যাতায়াতের জন্য আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে দিয়েও বেশিরভাগ গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু গত বছরও চিত্রটি ছিল অন্যরকম। চিড়িয়াখানার (Alipore Zoo) সামনে টিকিট কাটার জন্য ভিড় জমায় বহু দর্শকের আর সেই কারণেই টিকিট কাটার লাইন চিড়িয়াখানার সামনে থেকে ফুটপাথ পেরিয়ে নেমে আসে রাস্তায়। ট্রাফিক পুলিশের সেই ভিড় সামলাতে রীতিমতো খারাপ অবস্থা। এই ভিড় কিন্তু যানজটেরও কারণ।
আরও পড়ুন ? আরও আকর্ষণ বাড়বে দীঘার, তৈরি হতে চলেছে চিড়িয়াখানা
এই যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্যই পরিবহণ দপ্তর ও কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। আগাম ট্যাক্সি বুকিংয়ের জন্য রাজ্য সরকারের যাত্রীসাথী অ্যাপ জনপ্রিয় হচ্ছে এবং চিড়িয়াখানার দর্শকরা এবার থেকে বাড়িতে বসেই যাত্রীসাথী অ্যাপ খুলে ‘অপশন’-এ গিয়ে সহজেই চিড়িয়াখানার (Alipore Zoo) টিকিট কাটতে পারবে। অনলাইনে টাকা পাঠানোর পরই একটি কিউআর কোড ভেসে উঠবে মোবাইলের স্ক্রিনে। আপনি যদি এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটেন তাহলে চিড়িয়াখানার গেটে দাঁড়িয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই প্রবেশ করতে পারবেন। বহু মানুষ জানে না কিন্তু এখন থেকে এই অ্যাপ চালু হয়ে গেছে। তাই প্রচারের জন্য ভিক্টোরিয়া ও চিড়িয়াখানার সামনে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। এমনকি ট্রাফিক পুলিশও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রচার করছে। বেশি সংখ্যক দর্শক যাত্রীসাথী অ্যাপ ব্যবহার করলে চিড়িয়াখানার সামনে দর্শকদের ভিড় অনেকটাই সামাল দেওয়া যাবে।
প্রায় প্রতিবছরই চিড়িয়াখানার প্রস্থান গেট থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঝামেলায় পড়তে হয় দর্শকদের। সৃষ্টি হয় বিরাট রকম যানজট। চিড়িয়াখানার সামনে ফুটব্রিজ হওয়ার কারণে সেই সমস্যাও অনেকটা কমেছে। কিন্তু ফুট ব্রিজের চলন্ত সিঁড়িতে বহু মানুষই উঠতে ভয় পায়। চলতে গিয়ে থেমে গেলে দুর্ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে, তাই প্রয়োজনমতো কিছুক্ষণের জন্য চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ রাখা হচ্ছে। ওই সময়টুকুর জন্য চিড়িয়াখানার দর্শক বা পথচারীদের হেঁটেই সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।