নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতের মরশুম আসতেই ভ্রমণপিপাসুরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার নতুন নতুন প্ল্যান করছেন। বাঙ্গালীদের ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে দীঘা, পুরি, দার্জিলিং যেমন অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র, ঠিক সেই রকমই আবার অনেকেই রয়েছেন যারা কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে আসেন। তবে এবার কলকাতার ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) ) মতো পর্যটন ক্ষেত্রের জন্য হাইকোর্টের বড় ঘোষণা হয়ে গেল।
হাইকোর্টের তরফ থেকে সম্প্রতি ভিক্টোরিয়া নিয়ে নতুন ঘোষণা করা হয়েছে। যে ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ভিক্টোরিয়ার তিন কিলোমিটারের মধ্যে একটি কাজ করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সুপ্রাচীন এবং বিখ্যাত স্মৃতিসৌধ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে। যে কারণেই এই স্মৃতিসৌধের ঐতিহ্য ও তার রক্ষণাবেক্ষণ প্রত্যেকের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এতটাই জনপ্রিয় একটি সৌধ যে এখানে প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন হয়। তবে পরিবেশ প্রেমীদের তরফ থেকে বারবার এই জনপ্রিয় সৌধের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশ কয়েকটি দাবি তোলা হচ্ছিল। সেই সকল দাবি দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার আদালতের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের তিন থেকে চার কিলোমিটারের মধ্যে কেউ উনুন জ্বালিয়ে রান্না করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন ? Jamunasul Beach: কলকাতা ৩ ঘন্টা দূর! দিঘা, পুরি ভুলে এবার ঘুরে আসুন এই লাল কাঁকড়ার দেশে
উনুন জ্বালিয়ে রান্না করার উপর বিধিনিষেধ জারি করার পাশাপাশি কাঠ কয়লার মত বস্তুও জ্বালিয়ে অন্য কোন কাজ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে পরিবেশপ্রেমীদের তরফ থেকে যে দাবি তোলা হচ্ছিল তারই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ এমন ঘোষণা করেন।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এমন ঘোষণা করার পাশাপাশি এই বিষয়টি নিশ্চিত করার পুরো দায়িত্ব কলকাতা পৌর নিগমের বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে কলকাতা পৌর নিগমকে বিষয়টির উপর নজরদারি চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা পৌর নিগমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট করে দেওয়া এলাকার মধ্যে যাতে কোন অস্থায়ী দোকান অথবা স্টল যাতে দূষণ সৃষ্টি না করে সেই দিকেও নজরদারি চালাতে হবে। এছাড়াও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরে যাতে সিগন্যালের কারণে দীর্ঘক্ষণ যানবাহন থেমে না থাকে সেই বিষয়েও হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। তিনি এই এলাকাকে গ্রীন করিডোর তৈরি করার আবেদন জানিয়েছেন।