অনুব্রতর মাথায় বাজ! নতুন করে মিলল সায়গাল হোসেনের যকের ধনের হদিশ!

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তিহার জেলে রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তার দেহরক্ষী সায়গাল হোসেন (Saigal Hossain)। এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ও অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ মনিশ কোঠারিও রয়েছেন তিহাড়ে। একাধিকবার তিহার বন্দি প্রভাবশালী এই সকল ব্যক্তিরা জামিনের জন্য আবেদন করলেও তা মেলেনি। এরই মধ্যে নতুন করে সায়গাল হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে শুক্রবার নতুন করে আসানসোল আদালতে প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তির সিজার লিস্ট জমা করেছে। এরমধ্যে রয়েছে সাতটি জমি। যদিও এদিন নেটওয়ার্কজনিত সমস্যা থাকার কারণে ভার্চুয়াল শুনানি হয়নি। অন্যদিকে ৩২৩ দিন জেলবন্দী থাকার পর অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ যেকোনো শর্তে তার মক্কেলের জামিনের জন্য আবেদন জানান। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন আর সেই বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের জন্য যে আবেদন করা হয় তার পাল্টা হিসাবে সিবিআইয়ের আইনজীবীর তরফ থেকে বিরোধিতা করে জানানো হয় অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী এবং তিনি জামিন পেলে সাক্ষ্য ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারেন। দুই পক্ষের এমন সাওয়াল জবাব শেষে আদালতের তরফ থেকে জামিনের আবেদন খারিজ করা হয় এবং পরবর্তী শুনানীর দিন হিসাবে ১৪ জুলাই ঠিক করা হয়।

অন্যদিকে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের নতুন করে যে সম্পত্তির সিজার লিস্ট দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে যে সাতটি জমির হদিস পাওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে একটি রয়েছে সিউড়িতে এবং বাকিগুলি রয়েছে ডোমকলে। এই সকল জমির বাজার মূল্য দেখানো হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সিবিআইয়ের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, খুব কম করেই এই সকল জমির মূল্য দেখানো হয়েছে।

যে সকল জমির খতিয়ান আদালতে পেশ করা হয়েছে সেই সকল জমি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার ও সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে রয়েছে বলে সিজার লিস্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। শুধুমাত্র জমি নয় সায়গলের স্ত্রীর নামে আরও তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ওই তিনটি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। অ্যাকাউন্টগুলি ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও ডোমকলে একটি ইঁটভাটা, সিউড়িতে পাথর খাদানের জন্য জমি, ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্পের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তবে কোনটাই সায়গলের নামে নেই।