দেড় বছরে ১০ লক্ষ চাকরি, ঐতিহাসিক ঘোষণা মোদি সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি। বেড়েছে বেকারত্ব, বেড়েছে মূল্যবৃদ্ধি। তবে এবার এই সকল প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে দেশ। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই মোদি সরকারের ঐতিহাসিক ঘোষণা বেকারত্ব দূর নিয়ে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।

কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং কর্মী নিয়োগের দ্রুত ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমস্ত দপ্তরকে অতি দ্রুততার সঙ্গে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে এই পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া এবং ১০ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরিতে নিয়োগ করার ঘোষণা করা হয়।

একইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন সমস্ত দপ্তর এবং মন্ত্রণালয় নিজেদের মানবসম্পদের পরিস্থিতি দ্রুত খতিয়ে দেখে। অর্থাৎ এই সকল দপ্তর অথবা মন্ত্রণালয়ে যে সকল শূন্য পদ রয়েছে সেই সকল শূন্য পদ অতি দ্রুততার সঙ্গে খুঁজে বের করতে হবে এবং তা পূরণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই নির্দেশ আগামী দিনে শূন্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্ব বৈষম্য রিপোর্টে উঠে এসেছে ভারতের চাকরির বাজারে হতশ্রী অবস্থা। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘোরাফেরা করছেন। তবে চাহিদার তুলনায় কোনোভাবেই শূন্য পদ নেই দেশে। মূলত জনসংখ্যা বিস্ফোরণই চাকরির বাজারে এমন আকাল পরিস্থিতি তৈরি করার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও খুব তাড়াতাড়িই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন আসবে বলেও জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গত আট বছরে বিরোধীরা কর্মসংস্থান নিয়ে একের পর এক আক্রমণ সানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই আমলে পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে। তবে এসবের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মোদি সরকার যে ঘোষণা করেছে তা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে ২০২৪-এর প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী লড়াইয়ে তারা অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে লড়াইয়ের আগে এটাই মোদি সরকারের মাস্টার স্ট্রোক বলা যেতে পারে।