Urea Gold: লাভ হবে দ্বিগুণ! কৃষকদের জন্য এবার কেন্দ্র আনল নতুন সার, দেখে নিন দাম ও গুণাগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের কৃষকরা (Farmers) যাতে উপকৃত হন তার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কৃষকদের সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এসবের মধ্যেই এবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চাষীদের দ্বিগুণ লাভের জন্য বাজারে আনা হলো নতুন সার। নতুন ওই সারের নাম হল ইউরিয়া গোল্ড (Urea Gold)।

এমনিতে চাষের জন্য যে সালফার লেপা ইউরিয়া ব্যবহার করা হয় তা থেকে ধীরে ধীরে নাইট্রোজেন নির্গত হয়ে থাকে। কিন্তু ইউরিয়া গোল্ডে হিউমিক অ্যাসিড থাকার কারণে এর আয়ু অনেক বেশি হয়। সাধারণ ইউরিয়ার থেকে অনেক ভালো অপশন হিসেবে চাষীরা ইউরিয়া গোল্ড ব্যবহার করতে পারেন বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে ২০ কেজি সাধারণ ইউরিয়া ব্যবহার করতে হয়, সেই জায়গায় ১৫ কেজি ইউরিয়া গোল্ড ব্যবহার করলেই একই কাজ হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি ইউরিয়া গোল্ড ব্যবহার করা হলে মাটিতে সালফারের অভাব পূরণ হবে। এছাড়াও এই সার ব্যবহার করা হলে গাছের নাইট্রোজেন ব্যবহার করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি রাসায়নিক ইউরিয়া ব্যবহার করার ফলে দিন দিন মাটির উর্বরা শক্তি যেভাবে কমে যাচ্ছে তা ইউরিয়া গোল্ড ব্যবহার করলে হবে না। আর এমনটা সম্ভব হলে চাষীদের খরচ অনেক কমবে এবং দিন দিন যেভাবে ফলন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল তাও কমে যাবে।

আরও পড়ুন 👉 চাষীদের রোজগার হবে নিশ্চিত, দূর হবে চিন্তা! কেন্দ্র নিয়ে এলো নতুন প্রকল্প

রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজার লিমিটেড (RCF) কোম্পানির তৈরি ইউরিয়া গোল্ড চালু করার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এমন অনুমোদন দেওয়ার ফলে আর চাষীদের কাছে নতুন এই সার পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকছে না। নতুন এই সার পৌঁছালে চাষীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন যে সার ইউরিয়া গোল্ডের কথা বলা হচ্ছে তার দাম যে বিশাল কিছু তা নয়। বাজারে যে নিম কোটেড ইউরিয়া পাওয়া যায় তার থেকে সামান্য দাম বেশি। নিম কোটেড ইউরিয়া ৪৫ কেজির ব্যাগের জন্য দাম পড়ে ২৬৬.৫০ টাকা। অন্যদিকে ইউরিয়া গোল্ড ৪০ কেজি ব্যাগের দাম ২৬৬.৫০ টাকা। দামে সামান্য বেশি হলেও ইউরিয়া গোল্ড অন্যান্য সারের তুলনায় কম ব্যবহার করতে হবে বলে দাবি করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের তরফে।