CESC Urges to avoid this problem, inform the electricity department if AC is installed: বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাস জুড়ে চলে গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া। তবে এবারে বাংলা নববর্ষ পড়ার আগেই অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ থেকেই পড়েছে জাঁকিয়ে গরম। চলছে তাপপ্রবাহ। আর এই আবহে গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে আর্জি জানালেন সিইএসসি (CESC Urges)। গত বছরের সমস্যা এড়াতে গ্রাহকরা যদি এসি লাগাতে চান তাহলে তার আবেদন পত্র বিদ্যুৎ দপ্তরে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন CESC।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে তাপপ্রবাহের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষদের উপর। আর এই বিদ্যুৎ সমস্যার প্রধান কারণ হলো বিদ্যুৎ দপ্তরে না জানিয়ে লাগাতার এসির যথেচ্ছ ব্যবহার। যার ফলে ওভারলোড হয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়। বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ফল্টের কারণে থাকেনা বেশ কয়েক ঘন্টা কারেন্ট। যার জন্য পথ অবরোধ, বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফলস্বরূপ, সেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা সমস্যা যাতে চলতি বছরে না তৈরি হয়, তার জন্য গত মঙ্গলবার CESC-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশীষ ব্যানার্জি আর্জি (CESC Urges) জানিয়েছেন গ্রাহকদের। তিনি গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কোনো গ্রাহক যদি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে এসি লাগাতে চান তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়ে জানো বিদ্যুৎ দপ্তরে আবেদন জমা দেন। যার ফলে কোথাও বাড়তি লোডের দরকার হলে তারা বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা বুঝে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ব্যবস্থা করবে।
খবর রয়েছে, ২০২৩ সালে এই সময় যে হারে বিদ্যুৎ চাহিদা দেখা গিয়েছিল তার তুলনায় চলতি বছরে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই কম রয়েছে। গত বছর ১৬ই জুন সিইএসসি সিস্টেমে রেকর্ড করেছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেই সময় চাহিদা পৌঁছে ছিল ২,৬০৬ মেগাওয়াটে। তার তুলনায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সিইএসসির চাহিদা কম ছিল। সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২,২৯৯মেগাওয়াট। অপরদিকে এসি লাগানোর আবেদনপত্রেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে। গত বছরে এই সময় পর্যন্ত এসি লাগানোর আবেদন পত্র জমা পড়েছিল ১১,০৫০ টি। নতুন বছরের এই একই সময়কালে আবেদন পত্র জমা পড়েছে ১৫,৬৮৩ টি।
তবে এই অনুরোধ (CESC Urges) করার পাশাপাশি স্কাডা ব্যবস্থা চালু করেছে সিইএসসি। যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সংবহন এবং বন্টন ব্যবস্থার তৎক্ষণাত পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত ১৯৯৪ সালে ভারতে মহারাষ্ট্রের পর সিইএসসি দ্বারা স্কাডা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি সেই স্কাডা ব্যবস্থায় আরও অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে নতুন সংস্করণ চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই পুরনো তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক লোডের পূর্বাভাস জানা যাবে। যার ফলে কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহে ফল্ট হলেই স্কাডা ব্যবস্থার মাধ্যমে ২ মিনিটে আবার চালু হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। যা জানিয়েছেন সিইএসসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশীষ ব্যানার্জি।