কেষ্ট ঘনিষ্ঠ পৌরসভার চেয়ারম্যানের এ-কী হল! ছেড়ে দিলেন সব পদ!

নিজস্ব প্রতিবেদন : বলা নেই! কওয়া নেই! দুম করে সমস্ত রকম পদ থেকে ইত্তাফা দিলেন সিউড়ি পৌরসভার (Suri Municipality) চেয়ারম্যান প্রণব কর (Pranab Kar)। তার এইভাবে আচমকা ইস্তফা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চরম জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি কাউন্সিলরদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই অগত্যা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন একদা কেষ্ট ঘনিষ্ঠ পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রণব কর? এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে, তার এইভাবে চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তাফা দেওয়ার ফলে কিভাবে চলবে সিউড়ি পৌরসভা এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ড?

সোমবার সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে থাকা প্রণব কর আচমকা ইস্তাফা দিলেও তার ইস্তফা দেওয়ার জল কিন্তু গড়িয়েছিল ৬ মাস আগেই। যে সময় সিউড়ি পৌরসভার ২১ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩ জন প্রণব করের বিপক্ষে গিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয় এবং পরে সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীর উপস্থিতিতে বৈঠকের পর কিছুটা হলেও তা ধামাচাপা পরে। পঞ্চায়েত ভোটের কারণে পরবর্তী সময়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন আর সেই ব্যস্ততা কাটিয়ে ভোট শেষ হতেই সোমবার প্রণব কর মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে ইস্তফা পত্র জমা দেন।

সদ্য নির্বাচিত হওয়া এবং দলের তরফ থেকে সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়া প্রণব করের আচমকা এইভাবে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্তরে অন্তর্কলহ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও প্রণব কর ইস্তফা দেওয়ার সময় এই সমস্ত বিষয় উড়িয়ে দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন, শারীরিক অসুস্থতা এবং পারিবারিক কিছু সমস্যা থাকার কারণে তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার আভাসও দিয়েছেন।

অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ৬ মাস আগে কাউন্সিলরদের বড় অংশের তরফ থেকে আনা অনাস্থার কারণেই কি সমস্ত রকম পদ থেকে সরে গেলেন? যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, ওই কারণে সরে যাওয়ার হলে আগেই সরে যেতেন। কেননা তার বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের একাংশ অনাস্থা আনলেও কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি।

অন্যদিকে প্রণব করের ইস্তাফা দেওয়ার পরই তড়িঘড়ি সিউড়ি পৌরসভার কাউন্সিলররা একটি বৈঠক সারেন এবং সেই বৈঠকে আগামী দিনে কিভাবে সিউড়ি পৌরসভার কাজকর্ম পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা হয় বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বৈঠক শেষে কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই হিসাবেই আগামী দিনে কাজকর্ম চলবে।