ভারতের চন্দ্র জয়ে হায় হতাশ পাকিস্তানিদের! নিজের দেশকেই করছেন দোষারোপ

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথমবার হয়নি, দ্বিতীয়বারও হয়নি, তবে তৃতীয় বার ভারত করে দেখালো। চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান সফট ল্যান্ডিং করে ইতিহাস গড়ল ভারত। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর দৌলতে এমনটা সম্ভব হয়েছে। ১৪ জুলাই পৃথিবী থেকে রওনা দেওয়ার পর গত ২৩ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যাবেলায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে চন্দ্রযান তিনের ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram)। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এমন অবতরণ করার পর ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে এমন কৃতিত্ব অর্জন করল। আর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণের স্বীকৃতি পেল।

ভারতের এমন সাফল্যে দেশের ১৪০ কোটির বেশি মানুষ নিজেদের স্বপ্নপূরণ করতে যেমন সক্ষম হয়েছে ঠিক সেই রকমই আবার বিশ্বের বহু দেশের মানুষ ভারতের এমন সাফল্যের স্বীকৃতি দিচ্ছে। তবে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) বাসিন্দাদের ভারতের এমন সাফল্যে হায় হতাশ অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশের নাগরিকরা নিজেদের দেশকেই দোষারোপ করছেন।

ভারতের এমন সাফল্যের পাকিস্তানের অনেকেই রয়েছেন যারা মুগ্ধ হচ্ছেন। তবে এই মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি তাদের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে হতাশায় বলে উঠছেন, “আমাদের জমিটাই নড়বড়ে। আমরা চাঁদে পৌঁছাব কি করে?” প্রতিবেশী ওই দেশের এক নাগরিক জানিয়েছেন, তাদের দেশের সরকার যতদিন না পর্যন্ত স্থিতিশীল অবস্থায় আসছে ততদিন এইসকল বিষয়েই ভাবাটাই অকল্পনীয়। একই রকম ভাবে অন্যান্য নাগরিকরাও নানান ধরনের মন্তব্য পেশ করেছেন।

পাকিস্তানের আরও এক নাগরিক জানিয়েছেন, “মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজন আগে মেটানো হোক, তার পর তো উপগ্রহ এসবের কথা ভাবা যাবে। পাকিস্তান এখন অত্যন্ত গরিব। এতটাই দারিদ্র্য যে মানুষ এখানে মারা যাচ্ছেন।” শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি এক প্রবীণ নাগরিকের বক্তব্য, ভারতে যারাই সরকারে আসে তারাই দেশের জন্য ভাবে। আর তাদের দেশ অর্থাৎ পাকিস্তানে যারা সরকারে আসে তারা কেবল নিজেদের এবং নিজেদের পরিবারের জন্য ভাবে।

আবার এক পাক নাগরিক রীতিমতো স্বীকার করে নিয়েছেন, ভারত দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে আর পাকিস্তান দিন দিন গরীব দেশে পরিণত হচ্ছে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে অন্যান্য সব দিক দিয়ে এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে তাদের কোনরকম তুলনা করাই উচিত নয় বলেও ওই পাক নাগরিক দাবি করেছেন। ভারতের চন্দ্রযান ৩ সফল হওয়ার পর পাকিস্তানের অধিকাংশ নাগরিকদের মুখেই এখন এই ধরনের নানান কথা শোনা যাচ্ছে।