Chant the name of Bajrangbali to protect yourself from danger: কলিযুগের দেবতা বজরংবলী (Bajrangbali) আসলে মহাদেবের অন্যতম অবতার। ভক্তরা বিপদে পড়ে তাকে স্মরণ করলে তিনি অবশ্যই বিপদ থেকে ভক্তদের উদ্ধার করবেন। জানেন কি পবনপুত্র হনুমান হলেন অষ্টচিরঞ্জীবীর একজন? অর্থাত্ হনুমান হলেন অমর, তাঁর কোনো মৃত্যু নেই। হনুমানজি হলেন কলিযুগের একমাত্র দৃশ্যমান দেবতা। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে মঙ্গলবার দিনটি হনুমানের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়। ভক্তরা মঙ্গলবারের দিনটি বজরংবলীর বিশেষ পুজো করেন। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাবে বজরংবলী সম্পর্কে ৬টি আশ্চর্যজনক তথ্য।
বজরংবলী (Bajrangbali) ছিলেন শ্রীরামচন্দ্রের পরমভক্ত। সবাই জানে যে রামায়ণ রচনা করেছেন বাল্মীকি, তবে বাল্মিকীর রামায়ণ রচনা করার অনেক আগেই রামায়ন রচনা করেছিলেন হনুমান। সেই রামায়ণকে বলা হয়ে থাকে হনুমাদ রামায়ন। কথিত আছে যে, লঙ্কার রাজা রাবনকে বধ করার পর যখন রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণ অযোধ্যায় ফিরে আসেন সেই সময় হনুমান চলে যান হিমালয়। তিনি সেখানে নিজের নখ দিয়ে রচনা করেছিলেন হনুমাদ রামায়ন। পবনপুত্র হনুমান সম্পর্কে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, হিন্দুশাস্ত্র মতে, রামভক্ত হনুমান হলেন মহাদেবের একাদশতম অবতার। শ্রীবিষ্ণুর অবতার রামচন্দ্রকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে অঞ্জনির গর্ভে তার জন্ম হয়েছিল।
জানেন কি ঠিক কোন সময় বজরংবলী (Bajrangbali) তার পঞ্চমুখী অবতার রূপ ধারণ করেছিলেন? শ্রীরামচন্দ্র ও তাঁর ভাই লক্ষ্মণকে রক্ষা করতে তিনি এই রূপ ধারণ করেছিলেন। যখন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছিল ঠিক সেই সময় রহস্যময় অহিরাবণ তন্ত্রবিদ্যার প্রয়োগ ঘটিয়ে রাম ও লক্ষ্মণকে অচেতন করে ফেলে। বিভীষণ হনুমানকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যদি তিনি পাঁচ দিকে মুখ থাকা একটি পঞ্চমুখী প্রদীপ একসঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারেন, তাহলেই অহিরাবণের ক্ষমতা হ্রাস পাবে। সেকারণেই তিনি পঞ্চমুখী অবতার রূপ গ্রহণ করেছিলেন এবং পাঁচ মুখ দিয়ে পঞ্চমুখী প্রদীপ নিভিয়ে রাম এবং লক্ষ্মণকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
রাম ও লক্ষ্মণকে অহিরাবনের হাত থেকে রক্ষা করতে বজরংবলী (Bajrangbali) প্রবেশ করেন পাতাললোক। হনুমানের আকৃতির এক প্রাণী সেইখানে তাঁকে পিতা বলে সম্বোধন করেন। পিতা ডাক শুনে তিনি অসম্ভব রেখে যান কারণ তিনি সম্পূর্ণরূপে একজন ব্রহ্মচারী। সেই সময় মকরধ্বজ তাকে খুলে বলেন যে, যখন তিনি লাফ দিয়ে সমুদ্র পেরতে যাচ্ছিলেন তাঁর শরীরের এক ফোঁটা ঘাম একটি মকরের মুখের ভেতর পড়ে। সেই কারণে মকর গর্ভবতী হয়ে পড়ে। সেই মকর থেকেই জন্ম হয় মকরধ্বজের।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, শাস্ত্র অনুসারে সূর্য নমস্কার আসনের উদ্ভাবক হলেন বজরংবলী। সূর্য ছিলেন হনুমানের গুরুদেব। যখন পবনপুত্র হনুমান সূর্যদেবের থেকে সকল বেদের শিক্ষা গ্রহণ করেন, ঠিক সেই সময়ই গুরুদক্ষিণা হিসেবে সূর্য নমস্কার আসনের উদ্ভাবন করেন তিনি। আরো একটি বিষয় হয়তো সবারই অজানা হিন্দু শাস্ত্র মতে, হনুমানজি একবার মা সীতাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি কেন সিঁথিতে সিঁদুর দান করেন। হনুমানজিকে বোঝানোর জন্য মা সীতা একটি আমের গায় সিঁদুর লেপন করে তাকে বুঝিয়ে দেন সিঁদুর দান মানে শ্রীরামচন্দ্রের আয়ুর বৃদ্ধির কামনা করা। তখন রামের দীর্ঘজীবন কামনা করার জন্য হনুমান নিজের সর্বাঙ্গে সিঁদুর লেপন করে নেন।