Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার হলো রাজ্য সরকারের এক অভিনব প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজ একই জায়গাতে সাধারণ মানুষ সম্পন্ন করতে পারবে। বিভিন্ন এলাকায় বছরের বিভিন্ন সময়ে দুয়ারে সরকার হয়ে থাকে। তবে এবার দুর্গম এলাকাতে আয়োজিত হবে দুয়ারে সরকার। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের ২৬শে জানুয়ারির পর হয়তো শুরু হয়ে যাবে এই প্রক্রিয়া। মূলত কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য পরিষেবা প্রদানের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। সোমবার সন্দেশখালি থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন সন্দেশখালির মিশন মাঠে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে। সেই সরকারি পরিষেবা প্রদানের যে অনুষ্ঠান চলছিল তার মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী ২৬শে জানুয়ারির পর দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) করার কথা তিনি বলবেন মুখ্যসচিবকে। প্রত্যন্ত এলাকায় সাধারণত যাতায়াতের সমস্যা থাকে তাই সেখানে দুয়ারে সরকার করার কথা তিনি বলেন। বিশেষ করে কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য। সাধারণ মানুষ যাতে সময়মত সবরকম সরকারি সুবিধায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে এই দুয়ারে সরকার প্রকল্প। কারণ ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে।
সন্দেশখালিকাণ্ডের কেটে গেছে প্রায় এক বছর এবং একবছর বাদে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পা রেখেছেন শেখ শাহজাহানের এলাকায়। সোমবার সেই সন্দেশখালি থেকে তিনি বলেন, সবাইকে ভালোভাবে এবং মিলেমিশে থাকার অনুরোধ তিনি করলেন। এখানকার মানুষদের বিশেষ করে মেয়েদের সাবধানে থাকতে বলেছেন তিনি। কেউ ডাকল আর চলে গেল, সেটাও যেন আর কখনো না হয়। অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলেছে সাধারণ মানুষকে।
আর পড়ুন:Lakshmir Bhandar Scheme: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নতুন বছরে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম, দেখে নিন একনজরে
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শীঘ্রই করা হবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। সাধারণ মানুষকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে দুয়ারের সরকারে গিয়ে নিজেদের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য। কোন মানুষ যদি টাকার প্রলোভন দেখায় যেন সেই খপ্পরে না পড়ে কেউ, সেই বিষয়েও মানুষকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন মিথ্যে কোনদিনও ধামাচাপা পড়ে থাকতে পারেনা। সন্দেশখালি ছেলেমেয়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তিনি সর্বদাই চান এখানকার ছেলেমেয়েরা উচ্চস্থানে যাক। শুধুমাত্র ভারতে নয়, গোটা বিশ্বে তারা যেন নিজেদের জায়গা করে নিতে পারে।
রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে গত ৫ই জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয় ED-র আধিকারিকদের। এখানেই শেষ নয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি পর্যন্ত ভাঙচুর করেছে তারা। মহিলাদের ধর্ষণ থেকে শুরু করে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, নির্যাতনের ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে। সন্দেশখালি আন্দোলনকারীরা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী একবার এই স্থানে আসুন। ভোটের প্রচারে বারাসাতে গিয়ে পরে সন্দেশখালি যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেশখালি ইস্যু রাজ্য সরকারের গদি নাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র এবং হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হন। সেই সন্দেশখালিতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar)।