EMI: লোন নিয়ে শোধ করতে না পারলেও চিন্তা, এই ৪ কাজ করলেই চাঙ্গা থাকবে সিভিল স্কোর

Civil score will be boosted even if EMI is not paid on time: বাড়ি-গাড়ি বা বড় কোনো অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ব্যাংক থেকে বড় অ্যামাউন্টের লোন নিয়ে ফেলেছেন? নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তি শোধ করতে পারছেন না? EMI বাউন্স হয়ে যাচ্ছে? সিভিল স্কোর খারাপ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন? পরে আর লোন দেবে কিনা সেই নিয়ে চিন্তা করছেন? কোনো চিন্তা নেই এই ৪টি কাজ করে রাখলেই প্রভাব পড়বে না সিভিল স্কোরে। সমস্যা ছাড়াই নিতে পারবেন লোন। জেনে নিন সেই ৪ পদক্ষেপ।

সিভিল স্কোরে নেগেটিভ রিপোর্ট না পাঠানোর আবেদন

নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তি শোধ না করার ফলে সিভিল স্কোরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার ফলে পরবর্তীকালে লোন নিতে অসুবিধা তৈরি হয়। পর পর তিন মাস কিস্তি বাউন্স হলে সিভিল স্কোর কমে যায়। ব্যাংক থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট পাঠানো হয় ব্যক্তির বাড়িতে। ফলেই একমাস কি দু’মাস কিস্তি বাউন্স হলে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে কথা বলে আগের কিস্তি পরিশোধ করে নেগেটিভ রিপোর্ট না পাঠানোর আবেদন করতে পারেন। পাশাপাশি এটাও বলতে হবে যে ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না।

বকেয়া EMI-এর বিকল্প

যেকোনো ক্ষেত্রে লোন নিতে গেলে লোনের EMI-এর তারিখ মাসের শুরুতে হয়। একে অগ্রিম ইএমআই বলা হয়। এক্ষেত্রে অনেকের মাসের মাইনে পেতে দেরি হলে বা টাকা ঠিকঠাক সময় জোগাড় করতে না পারলে ইএমআই বাউন্স হয়ে যায়। তাই ঋণ গ্রহীতা চাইলে বকেয়া ইএমআই বিকল্প গ্রহণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে মাসের শুরুতে টাকা দেওয়ার চিন্তা থাকে না। মাসের শেষের দিকে কিস্তি শোধ করতে পারেন।

আরও পড়ুন 👉 Central Govt Home loan Scheme: লোন নিয়ে বাড়ি করতে চান! এবার বড় সুখবর দিল কেন্দ্র

ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে কথা বলে রাখা

প্রত্যেক ব্যক্তিরই সুবিধা-অসুবিধা থাকে। সেক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে যদি নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ জোগাড় করতে না পারেন বা কোনো অসুবিধার কারণে অর্থের ব্যবস্থা না হয় তাহলে সরাসরি ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে গিয়ে কথা বলুন। যে ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন সেই ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে কথা বলুন। তাকে আপনার সমস্যার কথা জানান। পাশাপাশি আশ্বাস দিন যে ভবিষ্যতে ইএমআই বাউন্স হবে না। এক্ষেত্রে ব্যাংক ম্যানেজার যদি আপনার সমস্যা বোঝে তাহলে ব্যাংকের তরফ থেকে জরিমানা আরোপ করা হলেও তা সাধ্যের মধ্যেই হবে। যাতে ঋণ গ্রহিতা শোধ করতে পারে।

EMI স্থগিত রাখার আবেদন

বড় কোনো সমস্যায় পড়েছেন? প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন? কিস্তির টাকা জোগাড় করতে পারছেন না? সরাসরি ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে গিয়ে কথা বলুন। ব্যাংক ম্যানেজারকে জানান আপনার সমস্যা। পাশাপাশি তার কাছে অনুরোধ করুন কিছু সময়ের জন্য ইএমআই স্থগিত রাখার। টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেলেই পরিশোধ করে দেবেন। এর ফলে কিছুটা চিন্তা মুক্ত হওয়া যাবে।