নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন প্রথম দফা ভোট গ্রহণে। আর এই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে বেশকিছু সমীক্ষাকারী সংস্থা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জনমত সমীক্ষা করেছে। আর সেই সকল জনমত সমীক্ষার মধ্যে সামনে এসেছে CNX-ABP জনমত সমীক্ষার ফলাফল।
ভোটের দিন ঘোষণার পর শাসকদল তৃণমূল তাদের জোট শরিক দলগুলির জন্য তিনটি আসন ছেড়ে বাকি ২৯১টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। আর এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ-বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে। মমতা ঘনিষ্ঠ বহু নেতা-নেত্রী ছাড়াও অন্যান্যদের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাতে দেখা গিয়েছে। এমত অবস্থায় রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শাসকদল তৃণমূল কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে। তবে জনমত সমীক্ষায় উঠে আসছে এর উল্টো ফলাফল।
সম্প্রতি CNX-ABP জনমত সমীক্ষার যে ফলাফল সামনে আনা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে যদি রাজ্যে ভোট হয় তাহলে শাসকদল তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬৪ টি আসন। অন্যদিকে পদ্ম শিবির পেতে পারে ১০২ থেকে ১১২ টি আসন। ২২ থেকে ৩০ টি আসন পেতে পারে সংযুক্ত মোর্চা এবং অন্যান্যদের ঝুলিতে আসতে পারে এক থেকে তিনটি আসন। CNX-ABP জনমত সমীক্ষার এই চূড়ান্ত ফলাফল আনা হয়েছে রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১১৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের নমুনা সংগ্রহ করে।
এর আগেও C-Voter এবং ABP সমীক্ষা চালিয়ে জানুয়ারি মাসে একটি জনমত সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল। যে সমীক্ষায় বলা হয়েছিল সেই সময়ে রাজ্যে ভোট হলে তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬২ টি আসন। সেক্ষেত্রে বিজেপির সম্ভাব্য আসন সংখ্যা সম্বন্ধে বলা হয়েছিল ৯৮ থেকে ১০৬ টি। বাম ও কংগ্রেস জোটের সম্ভাব্য আসন সংখ্যা বলা হয়েছিল ২৬ থেকে ৩৪ টি।
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে CNX-ABP একটি জনমত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছিল যাতে বলা হয়েছিল শাসক দল তৃণমূল পেতে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬ টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১১৩ টি থেকে ১২১ টি আসন। বাম ও কংগ্রেস জোটের সম্ভাব্য আসনসংখ্যা হিসাবে বলা হয়েছিল ২০ থেকে ২৮ টি আসন এবং অন্যান্যদের বলা হয়েছিল এক থেকে তিনটি আসন।
এর আগে এমন একাধিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই সকল জনমত সমীক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই হুবহু মিলতে দেখা গিয়েছে আবার অনেক ক্ষেত্রেই এই সকল সমীক্ষাকে মুখ দুমড়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যদি এই সকল সমীক্ষার ফলাফল ভোটের আসল ফলাফলের সাথে মিলে যায় তাহলে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
[aaroporuntag]
যদিও বিজেপির ভারতী ঘোষ একাধিক জনসভা থেকে এই সকল জনমত সমীক্ষা নিয়ে অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন, “শাসকদল তৃণমূল টাকা দিয়ে এই সকল সমীক্ষা করিয়ে তৃণমূলকে জেতানো দেখাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ বলে দিচ্ছে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। যেটা ২০১৯ লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল।”