রাজীব কুমারকে নিয়ে ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা শোনালেন কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র

হিমাদ্রি মন্ডল : চিটফান্ড মামলায় রাজীব কুমার এবং সিবিআইয়ের দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে। রাজীব কুমারকে ধরতে গিয়েছে সিবিআই, কিন্তু হাতে আসছেনা কোনমতেই। অন্যদিকে আদালতেরও রায় কোনরকম পরোয়ানা ছাড়াই সিবিআই গ্রেপ্তার করতে পারে রাজীব কুমারকে।

আর এই দড়ি টানাটানির মাঝে ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। আজ সিউড়িতে একটি সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এই সভায় তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, রাজীব কুমারকে খুন করা হতে পারে।

২০১৩ সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এলে তদন্ত করার জন্য রাজ্য সরকার গঠন করে সিট। এই বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান করা হয় তৎকালীন বিধান নগর কমিশনারেট রাজীব কুমারকে। রাজীব কুমার এর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার করে সুদীপ্ত সেনকে। তারপর ২০১৪ সালে আদালতের নির্দেশে সারদা কেলেঙ্কারি মামলা পৌঁছায় সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের নির্দেশে রাজীব কুমার সমস্ত নথি তুলে দিতে বাধ্য হন সিবিআইয়ের হাতে।

এর পরেই রাজিব কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দেওয়ার। শুরু হয় রাজিব কুমারের বিরুদ্ধেই তদন্ত। রাজিব কুমারের বাড়িতে এর আগেও সিবিআই হানা দেয়, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর জল ঘোলা হয়। এমনকি ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত।

ধীরে ধীরে রাজিব কুমারের ওপর থেকে তুলে নেয়া হয় সমস্ত রকম রক্ষাকবচ। সিবিআই তন্নতন্ন করে খুঁজে নামে রাজীব কুমারকে, কিন্তু রাজীব কুমার এখনো হাতের নাগালের বাইরে।

এবিষয়েই আজ সিউড়িতে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের অনুষ্ঠান থেকে সোমেন মিত্র জানান, “আমাদের সন্দেহ হচ্ছে ওকে মেরে না দেওয়া হয়। কারণ যেভাবে সিবিআই এর সাথে লুকোচুরি হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশীদার। সেই ষড়যন্ত্রটা কি, রাজীব কুমার গ্রেপ্তার হলে বেরিয়ে যাবে। সেই ভয়ে যারা এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার তারা মেরে না দেয়, এটাই আশঙ্কা। কারণ সমস্ত রকম প্রোটোকল ভেঙে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাজিব কুমারের বাড়িতে ছুটে যায় কিভাবে? নিজের দলের এমপি মন্ত্রীরা জেল খাটলেও দেখতে যাওয়ার সময় পান না অথচ রাজীব কুমারের জন্য ধর্ণায় বসেন। তাহলে রাজীব কুমারের উপর এত দরদ কিসের!”