নিজস্ব প্রতিবেদন : কনটেইনমেন্ট জোন শব্দটির সাথে আমরা সুপরিচিত হয়েছি গত বছর যখন দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তবে চলতি বছর করোনার ভয়ঙ্কর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও এযাবৎ এই বিশেষ জোন চোখে পড়েনি। এযাবৎ চোখে না পড়লেও মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই কনটেইনমেন্ট জোনকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নয়া নীতি ঘোষণা করা হলো।
এদিন নবান্নের তরফের নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, জেলাস্তরে করোনা সংক্রমণের হটস্পট চিহ্নিত করতে হবে। আর সেই সকল হটস্পটকে কনটেইনমেন্ট জোন অথবা মিনি কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। সংক্রমণের হারের উপর ভিত্তি করে বিবেচনা করা হবে কনটেইনমেন্ট জোন নাকি মিনি কনটেইনমেন্ট জোন।
পাশাপাশি এদিন নবান্নের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরদারি চালাতে হবে জেলা প্রশাসনকে। কোন রোগী পজেটিভ চিহ্নিত হলে দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনই আরও কয়েকটি নতুন বিধি ঘোষণা করলেন মুখ্য সচিব একে দ্বিবেদী। রাজ্য সরকারের এই নতুন বিধি আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ জুন থেকে জারি হচ্ছে ৩০ জুন পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত বছর এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি রাজ্য সরকারই এই পদ্ধতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার টানা দেড় মাস কঠোর বিধিনিষেধ জারির ফলস্বরূপ সংক্রমণে কিছুটা লাগাম টানা গেলেও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় কোনভাবেই ঢিলে মনোভাব দেখাচ্ছে না রাজ্য সরকার।
এই পরিস্থিতিতে এবার জেলাস্তরে পুর এলাকা, পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান এবং জেলাশাসকদের উপর বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে সকল এলাকায় সংক্রমণ বেশি নজরে আসবে সেই জায়গাকে হটস্পট চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জোন বা মিনি কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি চালাতে হবে সতর্কবার্তা।