Higher Secondary Exam: আজকালকার এই দামী দুনিয়ায় কোন কিছুই ফ্রিতে পাওয়া যায় না। শিক্ষা ব্যবস্থাতেও অনেকটা সেরকমই। উচ্চমাধ্যমিকের (Higher Secondary Exam) পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যারা দায়িত্বে থাকেন তারাও পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পুরো ব্যাপারটি পরিচালনা করেন। এই পারিশ্রমিকের ব্যাপারটি গত দু’বছর ধরেই চালু করা হয়েছে। কিন্তু সংসদের হাত থেকে এখনো পর্যন্ত পারিশ্রমিক এসে পৌঁছায়নি বলে জানা যাচ্ছে। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনেক আগেই এর যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
ডিআই উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক পরিদর্শন করে থাকেন। মিড ডে মিল প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধান, আপ-গ্রেডেশন সংক্রান্ত পরিদর্শন, এইচএস-এ নতুন বিষয় প্রবর্তন করা ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন থেকে শুরু করে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সাধারণ ও পারস্পরিক বদলির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব থাকে ডিআই এর ওপর।
আরো পড়ুন: নভেম্বরে পাওয়া যাবে অতিরিক্ত রেশন, কোন কার্ডে বিনামূল্যে কতটা রেশন পাওয়া যাবে
পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam) পরিচালনাকারী কমিটির সদস্যকে বলা হয় যুগ্ম আহ্বায়ক বা জয়েন্ট কনভেনর। ২০২৫ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য এই ডিআই এবং জয়েন্ট কনভেনার উভয়কেই পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তার কারণ ডিআই এর পারিশ্রমিক ধার্য করা হয়েছে ২০,০০০ টাকা। অন্যদিকে জয়েন্ট কনভেনরকে দেওয়া হবে মাত্র ২৫০০ টাকা। কুড়ি হাজার এবং আড়াই হাজারের মধ্যেকার যে বিস্তর ফারাক সেটাই প্রশ্ন তুলছে।
প্রাক্তন জয়েন্ট কনভেনার সঞ্জয় বড়ুয়ার মতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সব থেকে বেশি দায়িত্ব যদি কেউ পালন করে থাকে তবে তা জয়েন কনভেনর। তার কারণ পরীক্ষার একমাস আগে থেকে সব দিকে কড়াভাবে নজর রাখা থেকে শুরু করে পরীক্ষা চলাকালীন সুষ্ঠুভাবে সমস্ত ব্যবস্থাপনা করার দায়িত্ব পালন করে জয়েন কনভেনর। আর তাদেরকেই কিনা যৎসামান্য পারিশ্রমিক হাতে ধরিয়ে সমঝোতা করতে বলা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: রাজ্যের কোন স্কুলে কত শূন্য পদ? জানেই না পশ্চিমবঙ্গ সরকার! RTI-এ মিলল অবিশ্বাস্য তথ্য
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে ডিএসি যারা জয়েন্ট কনভেনরের অধীনে থাকে তাদের জন্য বরাদ্দ ১৫০০ টাকা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার(Higher Secondary Exam) জন্য যে ভেনুর ব্যবস্থা করা হয় সেগুলি পর্যবেক্ষণের জন্য যে কাউন্সিল নমিনি নিয়োগ করা হয় তাদের সাম্মানিকভাবে মাত্র ৬০০ টাকা। উচ্চ মাধ্যমিক বিভিন্ন সেন্টারে পড়ে সেই সেন্টার ইনচার্জ পাবে মাত্র ১৫০০ টাকা। ভেনুর সুপারভাইজার পদে যিনি থাকবেন তার জন্য ধার্য করা হয়েছে ১৫০০ টাকা। আর যারা প্রশ্নপত্র খেয়াল রাখবে তাদের জন্য ৭০০ টাকা।
এই বন্টনে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের মতামত যে, পারিশ্রমিকের দায়িত্ব বা কর্তব্য থেকে ভাগ করা হয়নি। পারিশ্রমিক ধার্য করা হয়েছে নিজের পকেটের লোক দেখে। সরকারের ঘনিষ্ঠদের মোটা অংকের পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা প্রকৃত দায়িত্ব পালন করছে, যারা পুরো পরীক্ষাটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে, তাদেরকে সামান্য পারিশ্রমিক দিয়ে একপ্রকার অপমান করা হচ্ছে।