Jio Sim নিমেষে হয়ে যাবে eSIM, সেটিংসয়ে আনতে হবে এই ছোট্ট পরিবর্তন

বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতে শুরু হয়েছে ই-সিম (eSIM) পরিষেবা। Airtel, Jio, Vi গ্রাহকরা ই-সিমের মাধ্যমে পরিষেবা ব্যবহারের সুবিধা পান। আজকাল অনেক ডুয়াল সিম স্মার্টফোনে একটি ই-সিম (eSIM) সাপোর্ট থাকে। তবে আপনি যদি জিও (Jio) সিম ব্যবহারকারী হন তাহলে, সেটিংসের কয়েকটি পরিবর্তনের মাধ্যমে এই কাজটি করে ফেলতে পারবেন সহজেই।

যে কোন টেলিকম সংস্থার পরিষেবা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন একটি SIM। আর সকলেই কোন না কোন সময় দোকান থেকে সিম কার্ড কিনেছেন। কিন্তু ই-সিমের ক্ষেত্রে কোন সিম কার্ড হাতে পাওয়া যায় না। ফোনের মাদারবোর্ডের মধ্যেই থাকে এই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ। তবে শুধু স্মার্টফোন নয়, স্মার্টওয়াচ, ড্রোন, গাড়ির মধ্যেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। যে কোন ডিভাইসে অতিরিক্ত সিম কানেক্টিভিটির জন্য এই প্রযুক্ত ব্যবহার হয়। এক কথায় ফোনের ভিতরে বসানো সিম কার্ডকেই ই-সিম বলা হয়।

আর এই সিম অ্যাকটিভেট করার জন্য প্রয়োজন হয় একটি বিশেষ কোড। যা টেলিকম সংস্থার তরফ থেকে দেওয়া হয়। বিভিন্ন iPhone মডেল ছাড়াও একাধিক Samsung, Pixel ও অন্যান্য Android ফোনে ই-সিম সাপোর্ট রয়েছে। ফোনে ই-সিম সাপোর্ট না থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু কীভাবে আপনি তা করবেন, সেই পদ্ধতিই আমরা আজকে শিখে নেব।

১) প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে, ফোনটা যেন Jio eSIM সাপোর্ট করে। সেটা আপনি জানতে পারবেন Jio ওয়েবসাইট থেকে। এটা জানার জন্য সেখানে গিয়ে আপনাকে ছোট্ট একটা টেস্ট করতে হবে।
৩) ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে আপনার IMEI এবং EID নম্বর চেক করতে ‘About’-এ ট্যাপ করতে হবে।
৪) আপনার সক্রিয় Jio SIM যে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে রয়েছে, সেখান থেকে ১৯৯ নম্বরে একটি SMS করতে হবে, যেখানে আপনাকে GETESIM টাইপ করে ৩২ ডিজিটের EID এবং ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি পাঠাতে হবে।
৫) তারপর আপনি একটি ১৯ সংখ্যার eSIM নম্বর এবং আপনার eSIM প্রোফাইল কনফিগারেশনের বিবরণ পাবেন।
৫) আর একটি SMS পাঠাতে হবে এবার। ১৯৯ নম্বরে আপনাকে SIMCHG লিখে ১৯ ডিজিটের eSIM নম্বর দিয়ে দিতে হবে।
৬) তারপর ২ ঘণ্টা পরে eSIM প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে আপডেট পেয়ে যাবেন।
৭) SMS পাওয়ার পর ১৮৩ নম্বরে ‘১’ পাঠিয়ে বিষয়টি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।
৮) এবার আপনার Jio নম্বরে এবার একটি কল আসবে, যেখানে আপনাকে ১৯ সংখ্যার eSIM নম্বরটি শেয়ার করতে বলা হবে।
৯) এবার আপনি নতুন eSIM নিশ্চিত করার জন্য একটি বার্তা পাবেন।

ব্যাস এই কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলেই সহজে আপনার eSIM আপনার ফোনে চালু হয়ে যাবে।