করোনামুক্ত থেকে ফের, মাত্র ৮ দিনেই চেহারা বদলালো রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদন : এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজের রাজ্যকে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। তারপর মাত্র ৮ দিনের মধ্যেই বদলে গেল রাজ্যের চেহারা। এই ৮ দিনের ব্যবধানে ত্রিপুরা আজ করোনা মুক্ত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে বেশি করোনা সংক্রামিত রাজ্যে পরিণত হল।

প্রথম দফায় ত্রিপুরাতে মোট দুজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ওই দুজন সংক্রামিত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। রাজ্যজুড়ে বইতে থাকে খুশির হাওয়া। মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটার হ্যান্ডেলে জানান, “ত্রিপুরা এখন করোনামুক্ত রাজ্য। দ্বিতীয় কেস ধরা পড়ার পরও আমরা করোনামুক্ত হতে পেরেছি। প্রথমজন আগেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আর দ্বিতীয়জন বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।”

কিন্তু এরপর এই মুখ্যমন্ত্রী আবার রাজ্যের বাসিন্দাদের সামনে তুলে ধরলেন খারাপ খবর। মে মাসের ৬ তারিখে তিনি জানালেন, রাজ্যে নতুন করে ২২ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা সংক্রমণ। তিনি ট্যুইটার হ্যান্ডেলের লেখেন, “নতুন করে করোনায় সংক্রামিত ২২ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, একজন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছে। শনাক্তদের বেশিরভাগ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য। জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রামিতদের ১৮ জন পুরুষই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান। মহিলা ও শিশুরা এই জওয়ানদের পরিবারের সদস্য।”

ত্রিপুরার ধলাই জেলার ১৩৮ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের প্রধান কার্যালয়ে এই সকল সংক্রামিতরা কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার এই ব্যাটেলিয়নের দুজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ঠিক তার পরদিনই আরো ১২ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনা সংক্রমণ। তারপর মঙ্গলবার আরো ১৩ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনা। রাজ্যে এখন মোট ৬২ জন করোনা সংক্রামিত, যাদের মধ্যে ৫৫ জনই বিএসএফ জওয়ান।তবে কি করে এত সংখ্যক জওয়ানের শরীরে করোনা সংক্রামিত হলো তার কারণ জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব চিঠি দিয়েছেন বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্সের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি)কে।