নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসাবে একাধিকবার একাধিক জনসভা থেকে বহিরাগতদের প্রবেশকে দায়ী করছেন। আর এবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, যারা বাইরে থেকে আসবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে RT-PCR টেস্ট করাতে হবে এবং নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে তবেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি নবান্নের তরফ থেকে করোনা ঠেকাতে শনিবার ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে।
১) বাড়ির বাইরে এবং গণপরিবহণের ক্ষেত্রে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব সহ অন্যান্য কোভিড প্রটোকল বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় প্রশাসনকে এই দিকগুলি নিশ্চিত করতে হবে।
২) ব্যবসা, শিল্প অথবা অন্যান্য কাজের জায়গায় সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার স্যানিটাইজেশন করতে হবে।
৩) ২০২০ সালের মতো চেম্বার অফ কমার্স অথবা ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সমস্ত বাজার পুনরায় স্যানিটাইজেশন করতে হবে।
৪) বাজার, সাপ্তাহিক বাজার, সরকারী ও বেসরকারী পরিবহণের মতো জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরে থাকা, স্যানিটাইজেশন এবং শারীরিক দূরত্বকে কঠোরভাবে বজায় রাখা হবে।
৫) রাজ্য সরকারের অধীনে যে কোনও অফিস অথবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে উপস্থিতি ৫০% এর বেশি হবে না। কর্মচারীরা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত রুটিনের ভিত্তিতে অফিসে উপস্থিত হবেন।
৬) ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ প্রাইভেট সংস্থাগুলিকে পুনরায় অনুরোধ করা হচ্ছে ওয়াক ফ্রম হোম অথবা শিফটিং ডিউটির মাধ্যমে নিজেদের কাজকর্ম চালানোর জন্য।
৭) কাজের জায়গার প্রত্যেককে মাস্ক পরা এবং দোকানপাট, শিল্প, কারখানা ইত্যাদিতে কর্মরত অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে পর্যাপ্ত শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করবে।
৮) শপিংমল, মাল্টিপ্লেক্সস, থিয়েটার, রেস্তোঁরা, ভোজনাদি ইত্যাদি সমস্ত জায়গায় প্রবেশের আগেই থার্মাল স্ক্যানিং, হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
৯) স্টেডিয়াম এবং সুইমিংপুলগুলির আগে প্রচারিত নির্দেশিকা এবং এসওপি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1383598045707657225?s=19
[aaroporuntag]
১০) উল্লিখিত পদক্ষেপগুলির যে কোন একটি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।