নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে দ্রুত বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। পরিস্থিতি সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত সন্দেহজনক ব্যক্তিদের পরীক্ষা এবং সেইসঙ্গে কোভিড-১৯ চিহ্নিত হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে। তারই চিত্র ফুটে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতকালের বক্তব্যে। অন্ততপক্ষে বিরোধীদের বক্তব্য এমনটাই।
So finally @MamataOfficial accepts that number of cases in bengal are not in thousands but in lakhs.
And also cleared she and her government is not capable of handling this situation.#coronavirus #COVIDー19 #Bengal #BengaliLivesMatter pic.twitter.com/h9sRcvHV1m— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) April 27, 2020
মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাদের ঘরবাড়ি আছে, আইশোলেসনে থাকবার মতো ব্যবস্থা আছে, তাদের মধ্যে কারো করোনা পজিটিভ হলে বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাতে পারবেন। মানুষ বাড়িতে ভালো থাকেন। হাসপাতালে গেলে অনেকরকম রোগীদের মধ্যে থাকতে হয়। সৃষ্টি হয় নানারকম সমস্যার। কিন্তু ঘরকে নিজের মতো করে রাখা যায়। ব্যক্তিরা নিজের মনোমত করে কারোর সঙ্গে না মিশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পারেন। হোম কোয়ারান্টাইন সব থেকে ভালো মডেল। পৃথিবীর অনেক জায়গায় এটা চালু আছে।
তিনি আরও বলেন, এতে অসুস্থ ব্যক্তিদের সরকারকে চাপ দিয়ে বাড়ি তুলে আনতে হয় না। সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, সরকারেরও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিকে কোয়ারান্টাইনে রাখার মতো ব্যবস্থা সরকারের নেই।
করোনা রোগীদের বাড়িতে চিকিৎসা করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে জুড়ে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের পর চারিদিকে নানান মন্তব্য শুরু হয়। এরপর ৬ ঘন্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করলো স্বাস্থ্য দপ্তর।
গতকাল বিকালে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছিলেন, করোনা পজিটিভরা বাড়িতে থাকতে পারবেন। ৬ ঘন্টার ব্যবধানে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়ে দেয় তা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, কোভিড-১৯ সংক্রামিত ব্যক্তিদের আবশ্যিকভাবে কোভিড চিহ্নিত হাসপাতালগুলিতেই চিকিৎসা করাতে হবে। তবে কোভিড সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ব্যক্তিরা ইচ্ছে করলে আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদের কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশাবলী।
প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি যে ব্যক্তিরা করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন তারাই শুধু হোম কোয়ারান্টাইনের সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে বাড়িতে থাকতে হবে প্রয়োজনীয় বড় জায়গা। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্বের প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী। হোম কোয়ারান্টাইনের নিয়মাবলী ঠিকমত পালন হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করতে আসবেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।