সিত্রাংয়ের পর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মান্দোস, আছড়ে পড়বে সামনের সপ্তাহে

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : কালী পুজোর ঠিক আগেই ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। প্রথম থেকে বলা হচ্ছিল এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে এপার বাংলার বুকে। যদিও সেই ঘূর্ণিঝড় শেষমেষ অভিমুখ পরিবর্তন করে পৌঁছে যায় ওপার বাংলায়। বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার ফলে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে দেখা যায়।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং তার জেরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার ফলে নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে এই ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর ফলে শীতের প্রাক্কালে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর বুধবার সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে মান্দোস। এরপর এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং ১১ নভেম্বর উপকূলে আছড়ে পড়বে। তবে এবার এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশ নয়, তা এগিয়ে যাবে অন্ধ্র উপকূলের দিকে এবং আছড়ে পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপট্টনমের কাছে ভূভাগে।

আবহাওয়ার এই পরিস্থিতির ফলে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় প্রবল দুর্যোগের সম্ভাবনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ১১ এবং ১২ নভেম্বর বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।