হঠাৎ বাঁক পরিবর্তন করবে ঘূর্ণিঝড় মোকা, কোথায় আছড়ে পড়বে জানাল হাওয়া অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদন : তিন কয়েক ধরেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত নিয়ে আশঙ্কার শেষ নেই। এই ঘূর্ণাবর্ত্য ধীরে ধীরে নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপ, আর তা থেকেই জন্ম হবে ঘূর্ণিঝড় মোকার (Cyclone Mocha)। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল এবং সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড় জন্ম নিচ্ছে সাগরের বুকে।

সাগরের বুকে জন্ম নেওয়া এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চরম উৎকণ্ঠায় ভুগছেন বাংলার বাসিন্দারা। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ এবং তা কোথায় আছড়ে পড়বে তা হাওয়া অফিসের তরফ থেকে প্রথমদিকে জানানো সম্ভব হয়নি। কেবল অনুমানের ভিত্তিতে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছিল। তবে এবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল এর গতিপথ এবং কোথায় তা আছড়ে পড়বে।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকা ১৪ মে আছড়ে পড়বে। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের কিয়াউকিপু-র মধ্যবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নিম্নচাপটি বর্তমানে অবস্থান করছে কক্সবাজার থেকে প্রায় ১৪০০ কিমি দূরে। বুধবার বিকাল বেলায় গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল দিকে শক্তি বাড়িয়ে ওই ঘূর্ণিঝড় তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ১২ মে পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ থাকবে পূর্ব উপকূলের দিকে। এরপর হঠাৎ বাঁক পরিবর্তন করবে ঘূর্ণিঝড় মোকা। বাঁক পরিবর্তন করেই তা এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে। হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাস থেকে স্পষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সেরকমভাবে প্রভাব পড়বে না। কেবলমাত্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব শুরু হলে বর্তমানে রাজ্য জুড়ে যে তাপপ্রবাহ চলছে তা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে। সপ্তাহান্তে গরমের দাপট কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।