সর্বোচ্চ কত বেগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ, কি মনে করছে মৌসম ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বছর মে মাসে বাংলার বুকে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সবকিছু তছনছ করে দিয়ে গিয়েছিল। যে ভয়ঙ্কর খেলায় পুনরায় নিজেদের ঘর সাজাতে অনেকটা সময় লেগে গেছে প্রশাসন থেকে আমজনতার। আর এর মাঝেই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন করে আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিলো মৌসম ভবন।

ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে নতুন এই ঘূর্ণিঝড় নিজের বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। আর এই ঘূর্ণিঝড়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী ২৬ মে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকারেই সাইক্লোন স্থলভাগের উপর আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস। আগাম সর্তকতা হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতে সতর্কতা প্রচার শুরু করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।

ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মৌসম ভবন এদিন যে তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে তাতে বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের থেকেও বেশি শক্তিশালী হতে পারে। স্থলভাগের আছড়ে পড়ার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। আমফানের ক্ষেত্রে এই গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২১ কিলোমিটার।

[aaroporuntag]
এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৬৫ টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি ২০টি দলকে প্রস্তুত থাকা হয়েছে বাড়তি পরিস্থিতির জন্য। এই ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় বলে অনুমান হাওয়া অফিসের। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বিপুল বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।