নিজস্ব প্রতিবেদন : জুনের তীব্র গরমের পর শেষ সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে স্বস্তি মিললেও জুলাই শুরু হতেই ফেল গরমের ধাক্কা সহ্য করতে হচ্ছে দক্ষিণ বঙ্গবাসীদের। বৃষ্টির (Rain) পরিমাণ কমে যেতেই দফায় দফায় বাড়ছে তাপমাত্রা। দিনের বেলায় তাপমাত্রার পারদ এমন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে যে টেকা দায় হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষদের। এর সঙ্গে আবার রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবে এরই মধ্যে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আচমকা আবহাওয়ায় বদল আসার পূর্বাভাস মিলল। এই পূর্বাভাস মিলেছে মূলত বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ভ্রুকুটির কারণে।
বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। চলতি মাসেই এই ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কথা জানিয়েছে হওয়া অফিস এবং এর ফলেই আবহাওয়ায় আমূল পরিবর্তন আসতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্তের কারণে আগামী পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডির (IMD) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে ঘূর্ণাবর্ত্য তৈরি হওয়ার কথা জানানো হয়েছে সেটির অবস্থান বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্তের ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘোষণা বর্তমান ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হবে এবং তার প্রভাবে বৃষ্টি বাড়বে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায়। কিন্তু এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির তেমন কোন সম্ভাবনার কথা জানাতে পারেনি হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে কেবলমাত্র এমনটাই জানানো হয়েছে যে আগামী শনিবার অর্থাৎ ভোটের দিন পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, শনিবার এবং রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায়।