Farakka: বর্ষায় ভোগান্তির দিন শেষ! এবার বড় পদক্ষেপে সমানতালে চলবে মুর্শিদাবাদ-ফারাক্কা যোগাযোগ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

As NTPC agreed to release the land, the days of suffering in monsoon are coming to an end for Farakka residents: সামনেই আসছে বর্ষাকাল। প্রতি বছর বর্ষাকাল এলেই কিছু এলাকার অবস্থা এমন হয়ে পরে যে সেই এলাকাগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে যায়। বেশ কিছু এলাকায় সৃষ্টি হয় বন্যা পরিস্থিতি। নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে নদীর পার্শবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার ঘটনা আজ নতুন নয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়ে স্থানীয়রা। প্রতিবছর বন্যার জন্য সমস্যায় পড়ে মুর্শিদাবাদ ও ফারাক্কার (Farakka) যোগাযোগ ব্যাবস্থাও। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগী সরকার।

Advertisements

বর্ষা এলেই ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি নদীর জল বাড়তে শুরু করে। একসময় প্লাবিত হয় নদীর ২ ধার। ভাসিয়ে দেয় ফারাক্কা সহ মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকা। মুর্শিদাবাদ ও ঝাড়খণ্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা একপ্রকার বন্ধই হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন স্থানীয়রা। নদীর জল প্লাবিত হয়ে মুর্শিদাবাদ ও ফারাক্কার (Farakka) যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত প্রধান সড়ক পথটি ধস নেমে ভেঙে যায়। এই এলাকার আশপাশের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা পড়েন মহা বিপদে। প্রতিবছরের এই ভোগান্তির দিন শেষ। এবার মুর্শিদাবাদ ও ফারাক্কার (Farakka) যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো মজবুত করতে চলেছে সরকার।

Advertisements

প্রতিবছর বর্ষার সময় মুর্শিদাবাদ ও ফারাক্কার হাজার হাজার মানুষের হয়রানির দিন শেষ হতে চলেছে। মুর্শিদাবাদ ও ফারাক্কার (Farakka) যোগাযোগ ব্যবস্থা মজবুত করতে তৈরি করা হবে সেতু ও সড়ক পথ। এই সেতু ও সড়ক পথ তৈরি করতে যা খরচ হবে সেই খরচ বহন করবে এনটিপিসি। কিন্তু ১ টি শর্তে। এনটিপিসি বলেছে, মুর্শিদাবাদ ফারাক্কা যোগাযোগ ব্যবস্থা মজবুত করতে আর্থিক সাহায্য করবে এনটিপিসি। কিন্তু তার বদলে রাজ্য সরকারকে জবরদখল কারীদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনতে হবে প্রায় ৩০০ একর জমি। রাজ্য সরকার উল্টো শর্ত রেখে বলেছে, এই জমিতে কোন প্রকার ছাই ফেলার কাজ করা যাবে না।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Purulia-Barakar Road: রাজ্যের এই জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াতের সময়ে থাকতে হবে সতর্ক, ৩ মাসে দুর্ঘটনায় মৃত ৭

ফারাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের পাশে নিশিন্দ্রা গ্রামে এনটিপিসির একটি ছাই ফেলার পুকুর রয়েছে। এই পুকুরের উপর দিয়েই সেতু তৈরি করার আবেদন করেছিল ফারাক্কার নাগরিকরা। প্রথমে এই সেতু ও সড়ক পথ তৈরি করতে যে পরিমাণ খরচ ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ হবে। বর্তমানে ফারাক্কা (Farakka) ও মুর্শিদাবাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করার জন্য সেতু ও সড়ক পথ নির্মাণ করতে খরচ হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এই খরচ বহন করবে ফারাক্কা এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার বদলে রাজ্য সরকারকে উদ্ধার করে দিতে হবে ৩০০ একর জমি। তবে উদ্ধার হওয়া এই জমির উপরে কোন রকম ছাই ফেলার কাজ করতে পারবে না এনটিপিসি।

ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও ফারাক্কার বিধায়ক নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ৩০০ একর জমি ফারাক্কা এনটিপিসির হাতে তুলে দেবে। কিন্তু এনটিপিসিকে ওই জমিতে ছাই ফেলতে দেওয়া হবে না। এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ এই শর্তে রাজি হয়েছে। ৩০০ একর জমির পরিবর্তে নতুন সেতু ও সড়ক পথ তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকারকে ১৪ কোটি টাকা দেবার চুক্তি হয়েছে তাদের মধ্যে। সেতু ও সড়ক পথ তৈরির মধ্যে দিয়ে মুর্শিদাবাদ ও ফারাক্কা (Farakka) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি এই এলাকায় স্লুইজ গেট সহ একটি জল নিকাশি ব্যবস্থার চ্যানেল তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কৃষকরা যাতে এই চ্যানেল থেকে নিজেদের প্রয়োজন মতন জল কৃষিকাজে ব্যবহার করতে পারে সেইদিকেও লক্ষ্য রাখবে রাজ্য সরকার।

Advertisements