মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কনসার্ট করলেন অরিজিৎ সিংহ (Arijit Singh)। দেশবিদেশের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠান করে কোটি কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান গায়ক। এই মুহূর্তে দেশের সবোর্চ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত গায়ক তিনি। তবু অতি সাধারণ তাঁর জীবনযাপন। শো করতে ট্রেনে চেপেই শিলিগুড়িতে পৌঁছলেন গায়ক।
শিলিগুড়ি (Siliguri) পৌঁছতে সাধারণ পথ বেছে অনুরাগীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অরিজিৎ। কোনও হেলিকপ্টার বা নিদেনপক্ষে বিমানসফরও নয়, জিয়াগঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছতে অরিজিতের বাহন ছিল ট্রেন। বুধবার রাত ২.৩০ নাগাদ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসে করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছান তিনি।
প্ল্যাটফর্মে তখন অগুনতি ভক্ত অপেক্ষমাণ। প্রত্যেকের হাতেই মোবাইলের ক্যামেরা খোলা। প্রিয় তারকাকে এক ঝলক দেখার জন্য আকুতি ধরা পড়ছে তাঁদের চোখে। অবশেষে কামরার দরজায় এসে দাঁড়ালেন অরিজিৎ। পরনে জলপাইরঙা হুডি, মাথা ঢাকা তাতে। মুখে মাস্ক। নিজেকে প্রায় আড়ালে রেখেছেন তিনি। আর সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীদের প্রশংসায় ভাসছেন গায়ক।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, প্ল্যাটফর্মে নেমে মাথা থেকে হুডি খুলে ফেলেন অরিজিৎ (Arijit Singh)। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে শিল্পীকে স্টেশনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর তিনি নির্ধারিত গাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এরই সঙ্গে আরও একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সম্ভবত সেই ভিডিয়োটি জিয়াগঞ্জ স্টেশনে তোলা হয়েছে। সেখানে অবশ্য অরিজিতের মুখে মাস্ক নেই। মাথায় সবুজ রঙের পাগড়ি। পরিচিত হাসিমুখে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন শিল্পী।
অরিজিতের (Arijit Singh) উত্তরবঙ্গ সফরের এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীরা সমাজমাধ্যমে শিল্পীর প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে উঠে এসেছে অরিজিতের সহজ-সরল জীবনযাপনের কথা। এক জন অনুরাগী লিখেছেন, সাধারণ জীবনযাপনের সেরা উদাহরণ। কেউ লিখেছেন, আজ থেকে একশো বছর পরেও মানুষ অরিজিৎকে শুধুমাত্র তাঁর গানের জন্য নয়, তাঁকে এক জন সহজ-সরল মানুষ হিসেবেও মনে রাখবেন।
অরিজিৎকে দেখে শিখতে হয়, কোটিপতি হয়েও সাদামাটা, স্লিপার ক্লাসে চড়ে পৌঁছান শিলিগুড়ি pic.twitter.com/itVagH5TOd
— BanglaXp Official (@BanglaXpBengali) April 5, 2023
তবে এই প্রথম নয়, অরিজিতের (Arijit Singh) জীবনযাত্রায় সারল্যের ছাপ এর আগেও বেশ কয়েক বার ধরা পড়েছে। অরিজিৎ জিয়াগঞ্জে বড় হয়েছেন। সেখানে মাঝেমধ্যেই তাঁকে সাইকেল চালাতে দেখা যায়। সেখানে নিজের বাচ্চাদের স্কুল থেকে নিতে গিয়েও সাধারণের মধ্যেই সকলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন অরিজিৎ। কোনও গাড়ি নয়, স্কুটিতে সওয়ার হয়ে তিনি ভোট দিতে আসেন। তবে এই জীবনযাপন শুধু জিয়াগঞ্জে নয়, মুম্বইয়ে থাকলেও তিনি এই সাদামাটা জীবনযাত্রাকেই মেনে চলেন।