প্রসূন দাস : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই তিন দফা ভোট গ্রহণ হয়ে গেছে। এবছর ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে থেকেই কড়া টক্কর চলছে শাসকদল তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবিরের মধ্যে। তবে শাসকদলের একাধিক নেতা নেত্রী দল ছাড়ার কারণে কিছুটা হলেও কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। কিন্তু এমত অবস্থাতেও কোনরকম ভাবে বেঁকে বসতে দেখা যায়নি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি আছেন তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে। আর তাই তো ফের একবার বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা এবং বিজেপি দলকে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করলেন।
মঙ্গলবার নানুরের বাসা পাড়ায় একটি মিছিল এবং স্ট্রিট কর্নারের আয়োজন করে তৃণমূল। সেই সময় অনুব্রত মণ্ডল ভাতার থেকে ফিরছিলেন। আর দলের এই কর্মসূচি দেখে হঠাৎ সেই কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখান থেকেই অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে পাগল এবং তার দলকে পাগল বলে কটাক্ষ করলেন। এই কটাক্ষের পিছনে রয়েছে ধ্রুব সাহার ‘এনকাউন্টার’ মন্তব্য।
ধ্রুব সাহার এনকাউন্টার মন্তব্য প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল কটাক্ষ করে বলেন, “বলা যায়! পাগল বলে বলেছে। ছাগলে কিনা খায় পাগলে কিনা করে। বিজেপি দলটা মনে হয় পাগল। দিল্লি থেকে লোকজন ছুটে আসছে মিটিং করছে লোক হচ্ছে না।”
নানুরের তৃণমূল নেতা শেখ আলম দিন কয়েক আগেই বলেছিলেন, “আমাদের সংখ্যালঘু ৩০ শতাংশ মানুষ একত্রিত হলে চার-চারটে পাকিস্তান তৈরি হতে পারে।” আর এই পাকিস্তান তৈরীর মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা গত রবিবার নানুরে দাঁড়িয়ে বলেন, “তৃণমূল সরকারের আমলে ভারতে থেকে পাকিস্তান তৈরি করার কথা বলা যায়। কিন্তু বিজেপি সরকার এলে এই সকল দেশদ্রোহীদের এনকাউন্টার করা হবে।”
[aaroporuntag]
অন্যদিকে দুদিন ধরেই বোলপুর থানার অন্তর্গত সিঙ্গি গ্রাম বিজেপি তৃণমূল কাজিয়া মনোভাবের জন্য এলাকা উত্তপ্ত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে এলাকায় কিছুটা হলেও কোণঠাসা হয়ে পড়ে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “নিশ্চয়ই ওরাও (তৃণমূল) কিছু করবে খেলা। টাইমলি খেলে দেবে ওরা। বিজেপি কর্মীরা বাচ্চা ছেলে তো, বয়স অল্প, প্রাইমারি সেকশনে পড়াশোনা করে তাদের পায়ের জোড়া কতটা হবে?”