Cancer Medicine: চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই ধরনের ঘটনা আগে হয়েছে কিনা সন্দেহ। প্রায় বিরল ঘটনা বলা চলে এই ঘটনাকে। কোনও মারণরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা সত্যি আগে কখনোই দেখা যায়নি। ক্যান্সার রোগের ওষুধের ক্ষেত্রে সম্প্রতি এমনই সাফল্য এসেছে একটি গবেষণায়। কোলোরেক্টাল ক্যানসার নিয়ে চলছিল গবেষণা। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষানিরীক্ষার অংশ হিসেবেই হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছিলেন। গবেষকরা ট্রায়ালে রোগীদের উপর যেসমস্ত ওষুধ প্রয়োগ করেছে তা ১০০ শতাংশ সফল। বিজ্ঞানীরা এমনটাও জানিয়েছেন যে, ওষুধটি প্রয়োগ করার পর অনেকেই ক্যানসার থেকে মুক্তি পেয়েছে।
জানেন কোন ওষুধ (Cancer Medicine) প্রয়োগ করে এই চমৎকার হয়েছে? যে ওষুধ প্রয়োগ করে এমন চমকপ্রদ সাফল্য এসেছে, তার নাম হলো দোস্তারলিমাব। মারণরোগের হাত থেকে বাঁচার এই ওষুধটি তৈরি হয়েছে একটি পরীক্ষাগারে। বলা যায় শরীরে এটি একটি অ্যান্টিবডির মতো কাজ করে। অর্থাৎ অ্যান্টিবডির বিকল্প হয়ে ওঠে। সকলেই জানি যে, অ্যান্টিবডি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরবর্তী ধাপে অ্যান্টিবডিই রোগের বিরুদ্ধে শরীরের ইমিউনিটি গড়ে তোলে। এই অ্যান্টিবডির সাহায্যে মানুষ ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়তে পারে।
এ ব্যাপারে কি বলছেন গবেষকরা? নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটেরিং ক্যানসার সেন্টারের গবেষক চিকিৎসক লুইস জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির ইতিহাসে এটি প্রথম ঘটনা। এই ওষুধের (Cancer Medicine) ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়েছে ১৮ জন রোগীর উপর। গবেষক দল ট্রায়ালের মাধ্যমে সাফল্য লাভ করেছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরেই প্রবেশ করানো হয়েছিল দোস্তারলিমাব অ্যান্টিবডিটি। নিমেষের মধ্যে সেই অ্যান্টিবডি ম্যাজিক ঘটিয়ে ফেলেছে। শরীর থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ক্যানসার।
আরও পড়ুন: ওভারব্রিজের তলায় পড়ে আছে প্রচুর জায়গা, সেখানেই স্পোর্টস হাব বানাতে চায় সরকার
কিভাবে বোঝা যাবে যে শরীরে এই রোগের আর কোনরকম চিহ্ন নেই? গবেষকদের অবশ্য বলেছেন যে এই ওষুধের (Cancer Medicine) ডোজ দেওয়ার পরে রোগীদের আলাদা করে নানা রকমের পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে ছিল এন্ডোস্কোপি, পিইটি স্ক্যান, এমআরআই স্ক্যান। কিন্তু এর মধ্যে কোনও টেস্টেই ক্যানসারের চিহ্ন ধরা পড়েনি। তারপর এই গবেষকরা নিশ্চিত হয়ে গেছে এই অ্যান্টিবডি ক্যান্সার মুক্ত করতে সহায়তা করছে।
যদি সত্যিই এই ধরনের অ্যান্টিবডি শরীরে ক্যান্সার মুক্ত করতে সহায়তা করে থাকে তাহলে আখেরে লাভ হবে রোগীদের। এই অসম্ভব যদি সম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তাহলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা এবং দেখতে হবে এই ওষুধ আদৌ কতটা সফলতা এনে দিতে পারে।