নিজস্ব প্রতিবেদন : বাই-সাইকেল (Bicycle), বর্তমানে মোটরসাইকেলের (Motorcycle) দাপটে এর ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে। তবে একটা সময় ছিল যখন হাঁটা বাদে বাইসাইকেলই মানুষকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা নিয়ে যেত। এখনো শহর এবং শহরতলী বাদ দিয়ে গ্রাম-গঞ্জের বাড়িতে বাড়িতে বাইসাইকেল দেখা যায়। এই বাইসাইকেল কথাটির পরিবর্তে অধিকাংশ মানুষকে কেবলমাত্র সাইকেল কথাটি বলতে শোনা যায়। তবে বাইসাইকেল হোক অথবা সাইকেল দুটি শব্দই কিন্তু বাংলা নয়।
উনিশ শতকের গোড়ায় প্রথম বাইসাইকেলের ব্যবহার শুরু হয়। ১৮১৭ সালে সাইকেলের আদি রূপ ছিল জার্মান ড্রাইসিন সাইকেল। বাইসাইকেল শব্দটির সৃষ্টি হয় ১৮৬০ সালে ফ্রান্সে। এরপর ১৮৮৮ সালে আধুনিক বাইসাইকেলের সূচনা হয়। ফ্রান্সের পিয়ের মিশো এবং যুক্তরাষ্ট্রের পিয়ের লালেমেন্ট এই দু’জন প্রথম প্যাডেল চালিত সাইকেল আবিষ্কার করেন। যদিও দুজনের মধ্যে কে এর উদ্ভাবক তার উত্তর এখনো অজানা। আবার ১৮৬৬ সালের ২০ নভেম্বর পিয়ের লালেমেন্ট সাইকেল উদ্ভাবনের জন্য তাঁর দেশে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন।
অন্যদিকে বাইসাইকেলের আবিষ্কার নিয়েও রয়েছে নানান ধরনের বিতর্ক। কেননা ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময় লিওনার্দো দা ভিঞ্চির এক ছাত্র জিয়ান গিয়াকোমো ক্যাপ্রোটি বাইসাইকেলে ছবি এঁকেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে এটিকে উদ্দেশ্যমূলক জালিয়াতি বলে তুলে ধরেন হান্স-এরহার্ড লেসিং। বাইসাইকেলের আবিষ্কার এবং এর নামকরণ নিয়ে এমন নানান ধরনের বিতর্ক রয়েছে।
বাইসাইকেল সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই বেশ ভাল রকমই ধারণা রয়েছে। বর্তমানে যে সকল বাইসাইকেল দেখা যায় সেগুলি দুটি চাকা এবং প্যাডেল যুক্ত। এটিই হলো আধুনিক বাইসাইকেলের রূপ। দুটি চাকা এবং প্যাডেল যুক্ত এই যানটিতে শারীরিক পরিশ্রম করে প্যাডেল করলেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া যায়। যদিও বর্তমানে ব্যাটারি চালিত বাইসাইকেল বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে। এখন জেনে নেওয়া যাক বাংলায় বাইসাইকেলকে কি বলা হয়?
১) মোবাইলকে বাংলায় কি বলা হয়?
উত্তর : চলভাষ।
২) ইন্টারনেটের বাংলা কি?
উত্তর : অন্তর্জাল।
৩) টেলিফোনের বাংলা কি?
উত্তর : দুরাভাষ।
৪) টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস এর বাংলা কি?
উত্তর : বার্তা।
৫) রেডিওর বাংলা কি?
উত্তর : বেতার।
৬) টেলিভিশনের বাংলা কি?
উত্তর : দুরদর্শন।
৭) বাইসাইকেলের বাংলা কি?
উত্তর : দ্বিচক্রযান।