Do you know what was the name of Tarapith Dham before: বীরভূমের তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Dham) সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। প্রত্যেকটি হিন্দুর কাছে এটি একটি পবিত্র স্থান। জীবনে একবার তারাপীঠে গিয়ে মা তারার দর্শন করার ইচ্ছে সকলের মনেই থাকে। তারাপীঠ মন্দিরের সঙ্গে মহান সাধক বামাক্ষ্যাপার নাম ভীষণভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তিনি এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। বামাক্ষ্যাপা এই মন্দিরে পূজা করতেন এবং মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানক্ষেত্রে কৈলাসপতি বাবা নামে এক তান্ত্রিকের কাছে তন্ত্রসাধনা করতেন।
তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Dham) সম্পর্কে সকলের অল্প বিস্তার ধারণা থাকলেও কেউ হয়তো সঠিকভাবে জানেন না এই মন্দিরের আগের নাম কি ছিল। এই মন্দিরের উৎস এবং তীর্থ মাহাত্ম্য সম্পর্কে লোকমুখে একাধিক কথা প্রচলিত আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরাণিক কাহিনী এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে যা আপনাকে আকৃষ্ট করবে অবশ্যই। যারা জানেন না কিভাবে যেতে হবে এখানে আসুন জেনে নিই চটজলদি।
তারাপীঠ মন্দিরটি (Tarapith Dham) অবস্থিত বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরের কাছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রও বটে। বহু পর্যটক ছুটে আসেন মা তারার দর্শনের জন্য এবং এর সংলগ্ন শ্মশান ক্ষেত্র খুবই বিখ্যাত। এই জাগ্রত মন্দিরে কোন মনস্কামনা করলে মা তারা তা অবশ্যই পূরণ করে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মন্দিরটি ৫১ সতী পীঠের মধ্যে অন্যতম একটি পীঠ। কয়েকশো বছর আগে এই অঞ্চলের চারিধারে জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল এবং মল্লারপুরের রায় বংশ এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত করেন।
এই স্থানটি (Tarapith Dham) কিন্তু যথেষ্টই ঐতিহ্যবাহী এবং মা তারার আরাধনার সঙ্গে যুক্ত। সাধক বামাক্ষ্যাপা তার জীবনের অধিকাংশ সময় মা তারার পুজোতেই উৎসর্গ করেছিলেন। মন্দিরের অদূরেই তাঁর আশ্রম অবস্থিত। এই তীর্থক্ষেত্র বীরভূম জেলার মারগ্রাম থানার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ছোটো গ্রাম প্লাবন সমভূমির সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি অতুলনীয়। তবে ২০০ বছর আগেই মোটেও এই স্থানটি এরকম ছিলনা। তবে কি নাম ছিল জানেন কি?
কয়েকশো বছর আগে এই তারাপীঠ মন্দিরের নাম ছিল চন্ডিপুর। যত দিন গেছে ততই সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্য তারাপীঠ খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছে। বর্তমানে বহু মানুষের ভিড় জমে এখানে। বীরভূমের তারাপীঠ খ্যাতি অর্জন করেছে ধীরে ধীরে এবং আগের চন্ডিপুর তারাপীঠ নামে পরিচিতি অর্জন করেছে। কয়েকশো বছর আগে পর্যন্ত তারাপীঠ মন্দির সংলগ্ন যে মহাশ্মশানটি ছিল সেখানে রাত্রিবেলায় কেউ যেতে পারতেন না। তবে বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় শ্মশানের পুরো পরিবর্তন হয়েছে। আগে এই শ্মশানে বহু তন্ত্রসাধক দেশ বিদেশ থেকে এসে তাদের তন্ত্র সাধনা করতেন।