নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন সংসদ ভবনে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে উন্মোচন হয় ৬.৫ মিটারের অশোক স্তম্ভ। তবে এই অশোক স্তম্ভ উন্মোচনের পর থেকেই শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক। উন্মোচন হওয়া নতুন অশোক স্তম্ভের সিংহের মূর্তি বদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি একাধিক প্রশ্ন উঠছে এই নতুন অশোক স্তম্ভ উন্মোচনকে ঘিরে।
যদিও এই প্রসঙ্গে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং সিউড়িতে এসে বলেন, “কংগ্রেসের সময়ে বহু কিছু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। সেই সকল পরিবর্তনের পরিবর্তন করে বিজেপি আসল জিনিসটিকে আনতে চাইছে। সেই মতো অশোক স্তম্ভের ক্ষেত্রেও কংগ্রেসের পরিবর্তন করে দেওয়া অশোক স্তম্ভের পরিবর্তে আসল অশোক স্তম্ভ ফিরিয়ে আনল বিজেপি।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিউড়িতে এসে এমন মন্তব্য করলেও অশোক স্তম্ভ এবং এই অশোক স্তম্ভ উন্মোচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক্তিয়ার নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। এর প্রতিবাদ জানিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, রাষ্ট্রীয় প্রতীক পরিবর্তনের ক্ষমতা কেন্দ্র সরকারের রয়েছে কিনা? এই ক্ষমতা নিয়েই দেশের আইন কি বলছে।
জাতীয় প্রতীক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০০৫ সালে এক আইনের ৬ (২) (এফ) ধারায় বলা হয়েছে, কেন্দ্র সরকার প্রতীকের নকশার স্পেশিফিকেশন এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় বা সমীচীন বলে বিবেচনা করলে এই সকল বিষয়বস্তুর পরিবর্তনের ক্ষমতা থাকবে। অর্থাৎ আইন অনুযায়ী জাতীয় প্রতীকের নকশার পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্রের।
তবে জাতীয় প্রতীকের নকশা পরিবর্তন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানান মত রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আইনজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞরা দ্বিধা বিভক্ত। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সঞ্জয় হেগড়ের মতে, ভারতীয় সংবিধানে কোনও প্রতীক নির্দিষ্ট করা নেই। প্রতীকের নকশা ২০০৫ সালের আইনের পরিশিষ্ট I এবং II-তে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আইনটির সংশোধন করে সরকার চাইলে নতুন প্রতীক দিতে পারে।