নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার দুর্গা পুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমজমাট আয়োজন হবে বলেই ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এই খুশিতে ক্লাবগুলির অনুদানের পরিমাণ ১০০০০ টাকা বাড়িয়ে করেছে ৬০ হাজার টাকা এবং বিদ্যুতের বিলে ১০% বৃদ্ধি করে ভর্তুকি করেছে ৬০%।
এছাড়াও ১ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে মহা মিছিলের ঘোষণা করা হয়েছে। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বিশেষ পদযাত্রার আয়োজন। কলকাতায় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে রেড রোড পর্যন্ত হবে এই পদযাত্রা এবং জেলায় ব্লকে ব্লকে এই পদযাত্রার আয়োজন হবে। এই পদযাত্রায় কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এখানেও নজর কাড়তে পারে লক্ষ্মীর ভান্ডার।
এর পাশাপাশি রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফ থেকে এই পদযাত্রা নিয়ে ১৭ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। সেই গাইডলাইনের মধ্য দিয়ে জানানো হয়েছে কিভাবে জেলাস্তরে এই পদযাত্রার আয়োজন করতে হবে। সেই গাইডলাইনে বলা হয়েছে এই পদযাত্রায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের ৫০০ থেকে ৭৫০ মহিলা অংশগ্রহণ করতে হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের শামিল করার কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশিকাই যা যা বলা হয়েছে সূত্র মারফত সেই সম্পর্কে জানা যাচ্ছে, এই পদযাত্রা আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনকে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনা করে কোথায় থেকে এই পদযাত্রা বের করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে এই পদযাত্রা করতে হবে। পুজো কমিটিগুলি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারে। তবে যে সকল মহিলারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের হাতে যেন শঙ্খ থাকে।
অংশগ্রহণকারী প্রতিটি পুজো কমিটির সঙ্গে যেন থাকে তাদের ব্যানার। বিভিন্ন স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের স্কুল পোশাক পরেই অংশগ্রহণ করতে হবে। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা কালো ছাতা ব্যবহার করতে পারবেন না। ছাতা ব্যবহার করলে রঙিন ছাতা ব্যবহার করতে হবে। এইরকম ১৭ দফা নির্দেশিকা বৃহস্পতিবার জারি করা হয়েছে এই পদযাত্রা নিয়ে।