চাষী সেজে ফোরেদের দালালি ঠেকাতে মোক্ষম ব্যবস্থা আনছে রাজ্য

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চাষী ভাইয়েরা (Farmers) মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাঠে ফসল ফলাচ্ছেন। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে শুধু একটাই অভিযোগ দেখা যায়, ফসলের উপযুক্ত দাম তারা পাচ্ছেন না। এমনকি বর্তমান সময়ে এমন এমন সব ছবি ধরা পড়ছে যাতে দেখা যাচ্ছে, দাম না পাওয়ার কারণে চাষীরা মাঠের ফসল মাঠেই নষ্ট করে দিচ্ছেন। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি?

Advertisements

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আপনি যখন বাজারে কোন সবজি কিনতে যাচ্ছেন তখন আপনাকে বিপুল টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আবার সেই একই ফসলের দাম চাষীরা সেই ভাবে পাচ্ছেন না। এখানেই স্পষ্ট যত গন্ডগোল মাঝে। অর্থাৎ মাঝে থাকা ফোরেরাই লাভের গুড় নিয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে এবার মোক্ষম ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার।

Advertisements

অন্যের ধান অথবা সবজি নিজের বলে লাভের গুড় খাওয়া এই সকল ফোরেদের দালালি ঠেকানোর জন্য এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হচ্ছে ই-পস (E-POS)। রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর আগামী জুন মাস থেকে ব্লক লেবেলে থাকা সেন্ট্রালাইজড প্রকিওরমেন্ট সেন্টারে (CPC) এই অত্যাধুনিক যন্ত্র বসানো হবে। অত্যাধুনিক এই যন্ত্রের সাহায্যে কারচুপি ধরা পড়বে বলে জানা যাচ্ছে নবান্ন সূত্রে।

Advertisements

কেন্দ্রীয় তরফ থেকে সম্প্রতি ধানের ন্যায্য মূল্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে যেখানে কুইন্টাল প্রতি ১৯৪০ টাকা দেওয়া হতো সেই জায়গায় এখন দেওয়া হচ্ছে ২০৪০ টাকা। কিন্তু দালালরা বিভিন্ন জায়গা থেকে চাষীদের অল্প দামে থেকে ধান কিনে তা সরকারি মূল্যে বিক্রি করছেন। চাষী সেজে তারা লাভের গুড় খেয়ে যাচ্ছেন।

নতুন এই ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, এবার থেকে রাজ্যের কৃষক বন্ধু পোর্টালে থাকা তথ্য অনুযায়ী জমির পরিমাণের অনুপাতে ধান কেনা হবে। অন্যের ধান নিজের বলে বিক্রি করার যে কারচুপি চলতো তা আর চলবে না। এমন কারচুপি ঠেকাতেই সহযোগিতা করবে ই-পস।

Advertisements