নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে ভূমিধস, আর এইসব আতঙ্কের মাঝেই এবার শুক্রবার সকাল সকাল বাংলার একাধিক জায়গা কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে (Earthquake in WB)। এদিন অনেকেরই ঘুম ভাঙ্গার আগেই রীতিমতো কেঁপে উঠতে দেখা গেল বাংলাকে। সকাল সকাল এমন ভূমিকম্পের ফলে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে।
শুক্রবার সকাল সকাল পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়। প্রথম কম্পন অনুভব করা যায় জলপাইগুড়িতে বলেই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। জলপাইগুড়িতে ঠিক সকাল ৬:৫৮ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। জলপাইগুড়ি ছাড়াও ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় এদিন সকাল-সকাল কম্পন অনুভূত হয়। কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়িতেও। এদিন সাত সকালেই এইভাবে ঘুম থেকে ওঠার আগে ভূমিকম্পের কম্পন রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, এদিন ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় ২ সেকেন্ড। কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৫। সকালবেলায় ভূমিকম্পের আতঙ্কে এলাকার মানুষদের ঘুম ভাঙলেও এদিন এই ভূমিকম্পের ফলে এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে কম্পন অনুভূত হতেই অনেকেই রয়েছেন যারা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। সকাল সকাল এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়াই উদ্বিগ্ন রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার সকালের এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল সিকিম বলেই জানা গিয়েছে। আবহবিদরা মনে করছেন, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। এদিন যে ভূমিকম্প অনুভূত হয় তার দার্জিলিং থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে, রাভাঙ্গা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম, গ্যাংটক থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে সিকিমের রাবাংলার কাছে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে সকাল ৬:৫৭ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়।
একদিকে যখন উত্তরবঙ্গে অতি বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় বানভাসি অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই সময় এমন ভূমিকম্পের আতঙ্ক রীতিমতো এলাকার মানুষদের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এদিন ভূমিকম্পের কম্পনের মাত্রা খুব বেশি না থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও সেসকল এলাকায় সকাল সকাল এমন কম্পন অনুভূত হয়েছে সেই সকল এলাকার মানুষদের চোখে মুখে আতঙ্ক ধরা পড়ছে।