একবার ঢুকলে শেষ করতে হিমশিম খেতে হবে! এমনই এক শপিংমল তৈরি হচ্ছে কলকাতায়

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে মানুষের কেনাকাটা সাধারণ ছোটখাটো দোকান থেকে প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ এখন শপিংমলে (Shopping Mall) গিয়ে নিজেদেরকে কেনাকাটা সেরে ফেলতে চান। শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে আর সেই কারণেই মূলত শপিংমলের দিকেই ঝুঁকছেন প্রতিটি মানুষ। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এক ছাদের তলায় প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুই হাতের কাছে পাওয়া।

এর পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল সুবিধা রয়েছে সেগুলি হল, বড় এলাকায় ঘুরতে ফিরতে বাজার করা, বাজার করার সঙ্গে সঙ্গে বিনোদন ইত্যাদি। আর যখন এইভাবে দিন দিন শপিংমলের চাহিদা বাড়ছে ঠিক সেই সময় কলকাতায় এমন একটি শপিংমল তৈরি হতে চলেছে যেখানে একবার প্রবেশ করলে শেষ হবে না। এই শপিংমল তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এটি তৈরি হলে তা যেমন কলকাতার সবচেয়ে বড় শপিংমল হয়ে দাঁড়াবে ঠিক সেই রকমই সেটিই হবে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শপিংমল।

কলকাতা তথা পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় এমন শপিংমল তৈরি করছে ফিনিক্স। ফিনিক্স মার্কেট সিটি তৈরি করার পরিকল্পনা আগেই গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সেই মতো সপ্তাহখানেক আগে এই শপিংমল তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে আগামী বছর দ্বিতীয়ার্ধে এই শপিংমল তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হলো কলকাতার বুকে কোথায় এত বড় শপিংমল তৈরি হচ্ছে যা হয়ে উঠবে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শপিংমল?

কলকাতায় আলিপুরে তৈরি করা হচ্ছে ফিনিক্স মার্কেট সিটি। এই শপিংমলটি ১০ লক্ষ স্কোয়ার ফিট এলাকা জুড়ে তৈরি করা হবে। এত বড় এলাকায় শপিংমল তৈরি করা হচ্ছে মুম্বাইয়ের মল ডেভেলপার ফিনিক্স মিলস এবং কানাডা পেনশন প্ল্যান ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড যৌথভাবে। এখানে এই শপিংমল তৈরি করার জন্য ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে জমি কেনা হয়েছিল। মল তৈরি করার জন্য কানাডা পেনশন প্ল্যান ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড ৫৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে।

আলিপুরের জাজেস কোর্ট রোডের কাছে তৈরি করা হচ্ছে এই শপিংমল। ফিনিক্স মিলস লিমিটেড এর আগেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের বড় বড় শপিংমল তৈরি করেছে। এমন বড় বড় শপিংমল যে সকল শহরে রয়েছে সেগুলি হল চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুনে, মুম্বাই, লখনউ, আগ্রা ইত্যাদি জায়গায়। তবে কলকাতা এবং পূর্ব ভারতে তাদের প্রথম এত বড় শপিংমল তৈরি হচ্ছে। এই শপিংমল এমনভাবে তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে করে স্থানীয়দের পাশাপাশি বেহালা, হাওড়া এবং উত্তর কলকাতার বাসিন্দারাও খুব সহজে পৌঁছাতে পারবেন।