শীতলকুচি থেকে শিক্ষা, বাকি দফায় আরও কড়া পদক্ষেপ কমিশনের

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ সংগঠিত করার লক্ষ্যে কমিশন প্রথম থেকে এগোলেও প্রথম তিন দফায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু চতুর্থ দফার নির্বাচন যেন অন্তিম সীমা পার করে। একদিনে একটি বিধানসভা কেন্দ্রেই পাঁচজনকে বলি হতে হয়। আর এই ঘটনার পরেই আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পথে কমিশন।

চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে সাতসকালেই এক যুবক দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় ওই যুবক বিজেপি সমর্থক ছিলেন। বেলা গড়াতেই শীতলকুচি আরও একটি বুথে অশান্তি ছড়ায়, যে ঘটনায় বাহিনী গুলি চালায়। বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিতে ভয় চারজনকে।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানান, একটি গুজবের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার বাসিন্দারা বাহিনীকে ঘিরে ফেলে। গ্রামবাসীদের হাতে ছিল গৃহস্থালির নানান সরঞ্জাম। বাহিনীর হাত থেকে অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হয়। প্রথমে শূন্যে গুলি চালিয়ে উপায় হয়নি। তারপরেই অন্তিম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় বাহিনী।

যদিও এই ঘটনাকে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি কাজিয়া পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছে। আর এই হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী দফায় ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে আরও বাহিনী নিয়োগ করার। পরবর্তী দফাগুলিকে সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আরও ৭১ কোম্পানি বাহিনী আসছে রাজ্যে।

[aaroporuntag]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে আরও যে ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে তার মধ্যে থাকছে ৩৩ কোম্পানি বিএসএফ, ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১৩ কোম্পানি আইটিবিপি, ৯ কোম্পানি এসএসবি এবং ৪ কোম্পানি সিআইএসএফ। এই ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরবর্তী দফার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।