The High Court said that the education department cannot prevent the transfer of school teachers in this situation: শিক্ষকদের (School Teacher Transfer) বদলি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলছে দোটানা। যে সমস্ত শিক্ষকরা বহুদিন ধরে অনেকটা দূরের পথ অতিক্রম করে শিক্ষাকতা করতে যান তাদের জন্য সুখবর বয়ে নিয়ে এসেছিল উসশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। চলতি বছরের জুন মাস অব্দি অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন মাস অব্দি উসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে নিজের এলাকায় বদলি নিতে পারবে না শিক্ষকরা, প্রথম নির্দেশ অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৩১ এ ডিসেম্বর অব্দি এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল।
স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher Transfer) বদলির ক্ষেত্রে পূর্বে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শিক্ষা দপ্তর। কিন্তু পুরনো বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ শে ডিসেম্বর দেওয়া থাকলেও সেই মেয়াদ পূর্ণ হবার আগেই পুনরায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। যাতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ শে জুন অব্দি কোনরকম বদলি প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে না।
তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের তরফ থেকে স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher Transfer) জন্য একটি নতুন সুখবর দেওয়া হয়েছে। যদি কোন স্কুল শিক্ষক / শিক্ষিকা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে থাকেন, সেই ব্যক্তির কাছে যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সঠিক নদীপত্র থেকে থাকে এবং রিপোর্টে যদি উপযুক্ত কারণ উল্লেখ থাকে তাহলে, সেই ব্যক্তির বদলির ক্ষেত্রে কোন রকম বাধা বা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে না শিক্ষা দপ্তর। অনেক লড়াইয়ের পর শেষমেষ হুগলির উত্তরপাড়ার এক শিক্ষিকাকে নিজের বাড়ির এলাকায় বদলি করার অনুমতি দিল শিক্ষা দপ্তর।
মামলাকারি অর্থাৎ শিক্ষিকা (School Teacher Transfer) বৈশাখী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে হুগলির কামারপাড়া হাই স্কুলে কর্মরত ছিলেন বৈশাখী দেবী। স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত কারণে নিজের বাড়ির এলাকার কোন স্কুলে বদলি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে তার এই আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা। উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বদলি প্রক্রিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণে, প্রথমে সিঙ্গেল ডিভিশন বেঞ্চ থেকে শিক্ষিকার আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি ডিভিশন বেঞ্চের কাছে দ্বারস্ত হন সুফল পাবার আশায়। শেষ পর্যন্ত তিনি সুফল পেয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চ তার ই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় ওই শিক্ষিকা হুগলির উত্তরপাড়া গার্লস হাই স্কুলে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই স্কুলে কোন শূন্যস্থান না থাকায় তার এই আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এর উত্তরে, শিক্ষিকা বৈশাখী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন ওই স্কুল বাদ দিয়ে তার আশপাশের যে কোন স্কুলে শিক্ষিকা কে বদলি করার অনুমতি দেওয়া হোক। শিক্ষিকা বৈশাখী মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। তার আইনজীবী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ একজন শিক্ষিকার পক্ষে প্রতিদিন ১২০ কিলোমিটার যাতায়াত করে কাজে যোগ দেওয়া খুবই কষ্টকর। এসএসসিকে ছয় সপ্তাহের সময়সীমা বেধে দিয়ে ঐ শিক্ষিকাকে বাড়ির কাছাকাছি কোন স্কুলে বদলি করার আদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।