Everything from trade license to house building papers will be through Smart Panchayat: বর্তমানে কম-বেশি সকলেরই হাতে রয়েছে স্মার্টফোন। যা শহর ছাড়িয়ে গ্রামের প্রতি বাড়িতেই কম করে দু তিনটে স্মার্টফোন থাকে। যার মাধ্যমে গোটা দুনিয়া দেখার পাশাপাশি বাড়িতে বসে করা যায় নানান ধরনের অফিশিয়াল কাজ।.তাই সেই অনলাইন পরিষেবা আরও সুবিধাজনক করতে গ্রাম পঞ্চায়েত (Smart Panchayat) বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিল রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর। গত শুক্রবারেই এই নিয়ে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বসেছিল বৈঠক। যা মাধ্যমে উপকৃত হবে গ্রামের বাসিন্দা সহ পঞ্চায়েত কর্মীরা। কি সেই পদক্ষেপ? তাতে কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সর্ব জায়গাতেই চালু হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল পরিষেবা। তাহলে সে দিক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতই বা বাকি থাকবে কেন? হ্যাঁ, এবার গ্রাম পঞ্চায়েতকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর। রাজ্য সরকার তরফে পদক্ষেপ নিল রাজ্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত-২.০’ (Smart Panchayat) গড়ে তোলার। যার ফলে বাড়িতে বসেই বিশেষ সুবিধা পাবে গ্রাম বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরেই গ্রাম পঞ্চায়েতে বহু অনলাইন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের শূন্য পদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তবে পঞ্চায়েতে সেই ডিজিটাল পরিষেবা আরো উন্নত করতে ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত-২.০’ প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। যে প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বিশেষ Whatsapp চ্যাটবট চালু করা হয়েছে। এই চ্যাটবটেই পঞ্চায়েত সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সহ বাসিন্দারা তাদের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। কিভাবে?
আরও পড়ুন ? KMDA: যাত্রাপথ সুরক্ষিত করতে জোর রাজ্যের! কাজ শুরু হবে এই ৪ ফ্লাইওভারের
স্মার্ট পঞ্চায়েত প্রকল্পের আওতায় প্রকাশিত Whatsapp চ্যাটবট নম্বরটি হল ৬২৯১২৬৫৮৫৪। যে নম্বরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ একাধিক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। যেমন বাড়ি তৈরীর অনুমোদন সংক্রান্ত শংসাপত্র, ট্রেড নো অবজেকশন সার্টিফিকেট, বাণিজ্য বিষয়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট, গেস্ট হাউস বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বুকিং বাতিল সংক্রান্ত মেসেজ, অভিযোগ জানানো প্রভৃতি ধরনের নানান সুবিধা পাওয়া যাবে চ্যাটবটে। যা সহজেই সাধারণ মানুষ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে একে একে আরও সুবিধা এই চ্যাটবটে যুক্ত হবে।
পাশাপাশি পঞ্চায়েত কর্মীরাও এই ডিজিটাল পরিষেবায় উপকৃত হবেন। তারাও সহজেই পেয়ে যাবেন পে স্লিপ, বার্ষিক বেতন প্রভৃতি নানান প্রয়োজনীয় তথ্য। ফলস্বরূপ ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত-২.০’ (Smart Panchayat) হওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষসহ পঞ্চায়েত কর্মীদের হাতের মুঠোয় থাকবে পঞ্চায়েত সম্পর্কিত নানান তথ্য। মূলত গ্রামবাসীদের সুবিধার্থেই এই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের।